বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় চীন এবং ভারত। সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে বৈঠক করে নিজ নিজ রাষ্ট্রের এই অভিমতের কথা জানিয়েছেন ভারত এবং চীনের রাষ্ট্রদূত। বিনিময়ে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে যে দুশ্চিন্তা ছিল, এখন আর সেসবের কোনো সম্ভাবনা নেই।
নতুন সরকার গঠনের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মন্ত্রীদের দপ্তরে কূটনীতিকদের যাতায়াত চোখে পড়ার মতো।
সোমবার(২২ জানুয়ারি) সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ইয়েন আর বিকেলে আইন মন্ত্রণালয়ে আসেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। দুজনেই কথা বলেন বাংলাদেশের সাথে আগামীর কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে। বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু হয়ে পাশে আছেন তারা।
এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের সাথে কূটনৈতিক সংকট নিয়ে যেসব দুশ্চিন্তা ছিল, নির্বাচনের পর এখন তা কেটে গেছে। কূটনৈতিক সংকটের আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
একই প্রসঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। জানান, নির্বাচনের আগে অনেক দেশই নানা মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে। সে সময় থেকেই চীন বাংলাদেশের পাশে ছিল। আগামীতেও উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু হয়ে পাশে থাকবে দেশটি।
এর আগে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে নিরাপত্তার সাথে কাজ করতে পেরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি সন্তুোষ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেট ওয়াল কোমেমোরেটিভ স্মারক মেডেল উপহার দিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ইয়াও ইয়েন।
news24bd.tv/ab