রাজধানীতে নারী খুন, বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ

তানিয়া আক্তার

রাজধানীতে নারী খুন, বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর হাজারীবাগে ভাড়াবাসায় তানিয়া আক্তার (৩৫) নামের এক নারী খুন হওয়ার ঘটনায় বাড়ির মালিক শাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

জানা গেছে, তানিয়ার সঙ্গে বাড়ির মালিক শাহিনের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। হত্যাকাণ্ডের আগে তানিয়ার সঙ্গে মোট আটবার ফোনে কথা হয় শাহিনের। প্রতিবারই ১০ থেকে ১৫ মিনিট কথা বলেন তিনি।

এ ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তানিয়া তার বাসায় সর্বশেষ একাই ঢুকেছিলেন। ফলে হত্যাকারী হিসেবে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছেন শাহিন। তবে সোমবার পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

এদিকে তানিয়ার পাশের রুমে থাকা আরেক নারী ভাড়াটিয়া হত্যাকাণ্ডের কোনো কিছু বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেছেন।

গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পাশের রুমের লোক কিছু না জানাও সন্দেহের চোখে দেখছে পুলিশ। তানিয়ার সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্কও ভালো ছিল না। তিনি আলাদা থাকতেন। তদন্তে এসব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা গেছে, তানিয়া ও বাড়ির মালিক শাহিনের মধ্যে অনেক আগে থেকেই একটা সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডের আগে তাদের মধ্যে একাধিকবার কথাও হয়েছে।

এদিকে সোমবার তানিয়ার ভাই তন্ময় হাসান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হাজারীবাগ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হত্যার পর রুম লক করে চলে গেছে খুনি। যাওয়ার সময় তার (তানিয়া) ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লু আমরা পেয়েছি। আশা করি, খুব দ্রুত আসামিকে ধরতে পারব।

রোববার দুপুরে হাজারীবাগ ১৭/১ মিতালি রোডের বাসার সপ্তমতলার কক্ষের ভেতরের বাথরুম থেকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।

তানিয়ার মামা আলমগীর হোসেন বলেন, বাড়ির মালিক শাহিন নিহত তানিয়ার পূর্ব পরিচিত। গেল সংসদ নির্বাচনে তারা একসঙ্গে নৌকার প্রার্থীর প্রচারণা চালিয়েছেন। সেখান থেকেই তাদের পরিচয়। পরে শাহিনের বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে এক রুমে ভাড়া ছাড়াই তানিয়াকে থাকতে দেন।

তানিয়া গত ১৯ জানুয়ারি হাজারীবাগে তার ভাইয়ের বাসায় যান। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসা থেকে টিফিন বক্সে করে রাতের খাবার নিয়ে ভাড়া বাসায় ফেরেন তানিয়া। পরদিন তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে তানিয়ার বাসায় গিয়ে তারা ডাকাডাকি করেন; কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিস্ত্রি ডেকে রুমের দরজার তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় বাথরুমে তানিয়ার গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে।

news24bd.tv/কেআই