৯২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

৯২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক

স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির নামে প্রায় ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় মজিবুর রহমান মিলন নামে এক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত এ রায় দেন।

মজিবুর রহমান মিলন ফেনী জেলার বাসিন্দা হলেও নগরের হালিশহর এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি মুহিব স্টিল অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রির মালিক।

পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় আসামি মজিবুর রহমান মিলনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও দণ্ডবিধির ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের আসামি  আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। মিলনের বিরুদ্ধে সাজামূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়,  ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের লালদিঘীর পাড় শাখা থেকে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির জন্য মজিবুর রহমান মিলনের নামে ৪৫ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল সেই ঋণসীমা ৮৯ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। ওই বছরের ৭ মে মজিবুর ৪০ কোটি টাকার ঋণপত্র খোলেন। মিলন কোরিয়া থেকে ১২ হাজার ৪৩৩ মেট্রিক টনের একটি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করেন, যা ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়।  

কিছু অর্থ পরিশোধের পর ২০১৭ সালের ৩০ মে পর্যন্ত মজিবুরের কাছ থেকে ব্যাংকের পাওনা দাঁড়ায় ৯১ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯২ টাকা। মজিবুর অর্থ পরিশোধ না করে লাপাত্তা হয়ে যান, এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও গা-ঢাকা দেন। এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পর ২০১৮ সালের ২৪ মে নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

news24bd.tv/কেআই