সামনেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে অনেকেই আশা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে ঠেকানোর জন্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল আসন সমঝোতা করবে। কিন্তু যতো দিন যাচ্ছে এ সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে। তৃণমূলের প্রাদেশিক নেতা কর্মীরা কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করতে রাজি নন।
বুধবার ( ২৪ জানুয়ারি) বর্ধমান যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে মমতা বলেন,একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এই যে রাহুলের যাত্রা বাংলায় আসছে, ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী হিসেবে আমাদের জানায়নি। জোট কারও একার নয়।
জানা গেছে, রাহুল গান্ধীর ‘ন্যায়যাত্রা’ কোচবিহার হয়ে ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গে। অথচ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তা জানানোই হয়নি তৃণমূলকে। এমনই অবিযোগের ইংগিত দিলেন মমতা।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, রাহুল গান্ধীর ‘ন্যায়যাত্রা’ আজ বুধবার ( ২৪ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে কোচবিহার হয়ে। এই যাত্রা নিয়ে উত্তরবঙ্গে তিনি থাকবেন ৫ দিন। ন্যায়যাত্রায় পা মেলাতে তৃণমূলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু এদিন মমতা ব্যানার্জী জানালেন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুলের যাত্রার কথা জানানোই হয়নি। জোট কারও একার নয় বলেও এদিন অভিযোগ করেন তিনি।
মূলত পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটবদ্ধ লড়াই নিয়ে জট পেকেছে আগেই। আসন সমঝোতায় জটিলতা। উনিশের জেতা দুটি আসনই কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু অধীর চৌধুরীদের দাবি আরও বেশি।
মমতা ব্যানার্জীর কথা হলো যে রাজ্যে যে শক্তিশালী, সেখানে তাকেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুযোগ দেওয়া হোক। এই ফর্মুলায় পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলেরই বেশি আসনে লড়ার কথা। ফলে রাহুল গান্ধীরা তৃণমূল নেত্রীকে কাছে টানার চেষ্টা করলেও উভয়ের জোট কিছুতেই পূর্ণতা পাচ্ছে না।
মমতা জানালেন, আমার প্রস্তাব আগেই ওরা প্রত্যাখ্যান করেছে। তখন থেকে একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
news24bd.tv/ডিডি
