ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে চারটি স্টেডিয়াম চেয়েছে বাফুফে 

বাফুফের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে নাজমুল হাসান পাপন - বাফুফে

ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে চারটি স্টেডিয়াম চেয়েছে বাফুফে 

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে মাঠ সমস্যায় ভুগছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আড়াই বছর ধরে চলছে সংস্কার কাজ। আন্তর্জাতিক ফুটবল হচ্ছে এখন বসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারেনায়। আর সেই কিংস অ্যারেনাসহ ঘরোয়া ফুটবলে ম্যাচ হচ্ছে গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীতে।

আর মেয়েদের ম্যাচ হচ্ছে কমলাপুরে, যদিও সে মাঠের টার্ফের অবস্থাও ভালো নয়।

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বাফুফে প্রতিনিধিদল দেখা করেছে। দীর্ঘ বৈঠকে সেই মাঠ সমস্যার কথা উঠে এসেছে বারবার।

বৈঠক শেষে বাফুফের সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী সাংবাদিকদের জানালেন সে কথাই।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে মাঠের সমস্যার কথা বলেছি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চার বছর ধরে সংস্কারকাজ চলছে (আসলে আড়াই বছর)। আমরা লিগ, টুর্নামেন্টসহ আন্তর্জাতিক ম্যাচও আয়োজন করতে পারছি না। এর সংস্কারকাজ শেষ হবে এ বছরের শেষে। মাননীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হবে। ’

মন্ত্রীর কাছে ফুটবলের জন্য আলাদা স্টেডিয়াম চেয়েছে বাফুফে। এ বিষয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমরা আলাদা স্টেডিয়াম চেয়েছি অন্তত চারটি। মন্ত্রী মহোদয় দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি এই স্টেডিয়ামগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উত্তীর্ণ করে দেওয়ার কথা বলেছেন, তবে তিনি এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের ওপর জোর দিয়েছেন। আমরা বলেছি, বাফুফেকে স্টেডিয়ামগুলো দিলে, আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করব। ’

এদিকে, নাজমুল হাসান পাপন মন দিয়েই শুনেছেন বাফুফে প্রতিনিধিদলের কথা। সভা শেষে তিনি জানিয়েছেন, বাফুফেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে তার মন্ত্রণালয়।  
তিনি বলেছেন, ‘ফুটবলের সঙ্গে মূলত কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন, বাজেট, মেয়েদের ফুটবল। বাফুফে কমলাপুর স্টেডিয়ামের সংস্কার ও এর মান উন্নয়নের কথাও বলেছে। ’

গত অর্থ বছরে সরকারের কাছে ৫০০ কোটি টাকা চেয়েছিল বাফুফে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাফুফের সেই প্রকল্প বাতিল করেছিল সাময়িক সময়ের জন্য। ‘সিড মানি’ হিসেবে সরকারের কাছে আরও ১০০ কোটি টাকা চেয়েছে ফুটবল। তবে এ বিষয়ে বাফুফে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি পাপন।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘এ ব্যপারে এখনই আমি তাদের কোন প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি। এটা নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। এখনই ১০০ কোটি সীড মানি নিয়ে ভাবছি না। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়-সরকারের সঙ্গে বসতে হবে। তাদের রাজি করানো যাবে কি না জানি না। ’

news24bd.tv/SHS