কিশোর হত্যার ঘটনায় ১০ বছরের সাজা

প্রতীকী ছবি

কিশোর হত্যার ঘটনায় ১০ বছরের সাজা

অনলাইন ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় ছুরিকাঘাতে এসএম ইমরান নাজির (১৬) নামে এক এসএসসি পরিক্ষার্থী নিহতের মামলায় ইমন ওরফে ঝুনু (২৪) নামে একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

বুধবার বিকাল ৪টায় কুষ্টিয়া (জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামি ইমনের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।  

আদালতে কর্তব্যরত রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌসুলি অ্যাডভোকেট কাজী সাইফুদ্দিন বাপ্পী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত ইমন ওরফে ঝুনু সদর উপজেলার জগতি গবরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাহাদত হোসেনের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্যক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করায় এবং বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের বলে দেওয়ার ঘটনার জেরে ২০১৫ সালের ২ মার্চ বিকালে দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক ইমন ওরফে ঝুনুর (১৬) নেতৃত্বে ইমন (১৬), আসফিম (১৬), আরসিল (১৬), শাকিল (১৬) ও সোহাগ (১৭)  দলবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইমরানকে ছুরিকাঘাত করে।

তাকে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্র ইমরানের পিতা সদর উপজেলার জগতি ৩নং কলোনির বাসিন্দা মৃত. কাশেদ আলীর ছেলে হিটু সেখ বাদী হয়ে ৩ মার্চ ২০১৫ কুষ্টিয়া মডেল থানায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা ইমন ওরফে ঝুনুসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. ওবাইদুর রহমান ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

বিশেষ শিশু আদালতে কর্তব্যরত রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌসুলি অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন বাপ্পী জানান, স্কুল ছাত্রীদের ইভটিজিং বা যৌন হয়রানির ঘটনার বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের বলে দেওয়ার জেরে ইমরানের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।

ঘটনার সময় এজাহার নামীয় সকলেই কিশোর বয়সী হওয়ায় তাদের বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে সম্পন্ন হয়েছে।  

এই মামলায় সাক্ষ্য শুনানি শেষে ইমন ওরফে ঝুনুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় এবং ঘটনার সময় তার বয়স বিবেচনায় শিশু আদালতের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চার্জশিটভুক্ত অন্য ৫ আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।  

news24bd.tv/কেআই

এই রকম আরও টপিক