ড. ইউনূসের সাজার নথি না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তার আইনজীবীর করা অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী।
তিনি বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের যে মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ড হয়েছে, সেই মামলার বিচার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বারবার চেয়েও পাচ্ছেন না বলে তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করেছেন। এটা সঠিক নয়।
হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি যা দেখলাম, শুনলাম এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে যা বুঝলাম তাতে বলা হচ্ছে যে, উনি আপিল করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেন না এবং তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
এই আইনজীবী বলেন, আমি এখানে হয়রানিমূলক কোনো কিছু দেখছি না। কারণ আপিল করতে হলে আপিলের জন্য যে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে, যিনি আপিল করবেন তিনি তা সংগ্রহ করবেন। তিনি কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি কোথাও বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে সেই ব্যাপারে তিনি বলতে পারতেন। কিন্তু সে ধরনের তো কোন ঘটনা ঘটেনি।
হায়দার আলী বলেন, তারা অলরেডি (ইতোমধ্যে) এই মামলার সার্টিফাইড কপি পেয়েছেন। আপিল করার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন, সেটাও তারা পেয়েছেন। এখন তিনি আপিল করবেন। আর আপিল করার জন্য সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর যে সময়টা থাকে, সেই সময়টি আপিলের লিমিটেশন থেকে বাদ যাবে। ওই সময়টা বাদ দিয়েই সময় গণনা করা হয়। কাজেই এখানে হয়রানির তো কোন প্রশ্নই না। কাজেই হয়রানির যে বক্তব্যটি এসেছে, সেটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এবং এই বক্তব্যটি সঠিক নয়। এখানে আইনের কিছুই ব্যত্যয় হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রায় ঘোষণার ১০ দিন পর রায়ের কপি হাতে পেয়েছেন। কিন্তু এখনো মামলার অন্যান্য নথিপত্র দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। মূলত ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।