আগামীকাল শুক্রবার ( ২৬ জানুয়ারি) ভোরে এ দণ্ড কার্যকরের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আলাবামার গভর্নর কে আইভি। এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম ঘটনা।
১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন স্মিথ। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ স্মিথকে ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দেন।
এলিজাবেথকে হত্যা করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তাঁর এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন ওই নারীর স্বামী চার্লস সেনেট। কৌঁসুলিরা বলেছেন, স্ত্রীর বীমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে এলিজাবেথ আত্মহত্যা করেন।
এরকম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার আবেদন করেছিলেন নারী হত্যাকারী কেনেথ স্মিথ। কিন্তু তার আবেদন গত বুধবার ( ২৪ জানুয়ারি) খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগ করে প্রথম দফায় কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তখন দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। আলাবামার রিপাবলিকান গভর্নর কে আইভি আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পর পর্যালোচনা শেষ হয়।
২০২৩ সালের মে মাসে দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানোর এ সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন স্মিথ। তাঁর আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় আদালতে স্মিথ বলেছিলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় এ প্রচেষ্টা মার্কিন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীকে লঙ্ঘন করবে।
নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য তাঁর মুখে বিশেষভাবে তৈরি একটি মাস্ক পরানো হবে। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। মাস্কটি নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
news24bd.tv/ডিডি