হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে রাজি হয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী

ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা করতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সাথে দেখা করতে রাজি হয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে রাজি হয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা করতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সাথে দেখা করতে রাজি হয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন। হাঙ্গেরি হচ্ছে একমাত্র ইউরোপীয় দেশ যার অনুমতি ব্যতীত সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না। খবর আল জাজিরার।

বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) সুইডেনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ক্রিস্টারসনের লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করে, যেখানে অরবান কর্তৃক হাঙ্গেরিতে গিয়ে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা করার প্রস্তাবে ক্রিস্টারসনের সাড়া দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে ক্রিস্টারসন বলেন, হাঙ্গেরির আইনসভায় সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে সম্মতি প্রদান আমাদের দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে এবং আমাদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বিশ্বাস বৃদ্ধি করবে।

ক্রিস্টারসন আরও বলেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে গভীর আলোচনা হলে উভয়ের জন্যই তা উপকারী হবে। এছাড়াও আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সম্মেলনেও আমরা আলোচনায় বসতে পারি।

তুরস্ক কর্তৃক সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগদানে সম্মতি প্রদানের একদিন পরে চিঠিটি প্রকাশিত হলো।

কয়েকদিনের মধ্যেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সম্মতিপত্রে সই করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তুরস্ক কর্তৃক সম্মতি দেয়ার পর সুইডেন ন্যাটোতে যোগদানের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে বলে জানিয়েছিলেন ক্রিস্টারসন।

বুধবার(২৪ জানুয়ারি) এক্সে প্রকাশিত এক বার্তায় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবান সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে সমর্থন জানান এবং তার দেশের আইনসভায় অতিসত্ত্বর এ বিষয়ে সম্মতি দেয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

তবে বৃহস্পতিবার হাঙ্গেরির আইনসভার স্পিকার লাজলো কভার সম্মতি দেয়ার ক্ষেত্রে হাঙ্গেরি তাড়াহুড়ো করবে না বলে জানান।

গত বছরের এপ্রিলে ৩১তম দেশ হিসেবে ন্যাটোতে যোগ দেয় ফিনল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সীমান্তের আয়তন দ্বিগুন হয়ে যায়। পাশাপাশি, ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের মাধ্যমে প্রায় তিন দশক আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ন্যাটোতে যোগ দেয়া তিনটি ক্ষুদ্র বাল্টিক দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার হয়েছে।

শীতল যুদ্ধের সময় থেকেই সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড জোটবিহীন পররাষ্ট্রনীতি মেনে এসেছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফলে দেশ দুইটির পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন সাধিত হয়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবানের সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সুসম্পর্ক রয়েছে।

news24bd.tv/ab

এই রকম আরও টপিক