ইরাকে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের ভবিষ্যত নির্ধারণে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের সরকার। আলোচনার মাধ্যমে ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্যদের বিদায় নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের পর থেকে দেশটিতে মার্কিন সৈন্যরা অবস্থান করছে।
তখন থেকেই ইরাকে মার্কিন সৈন্যদের উপস্থিতি ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং রাজনীতিবিদদের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইরাক সরকার জানায়, ইরাকে মার্কিন সৈন্যরা কতদিন অবস্থান করবে তা নির্ধারণ করতে একটি সময়সীমা বেঁধে দেয়ার লক্ষ্যেই আমরা আলোচনায় বসতে যাচ্ছি। ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্যদের বিদায়ের আগ পর্যন্ত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়ড অস্টিন জানান, ২০২৩ সালের আগস্টে রাজি হওয়া একটি সামরিক কমিশনের মাধ্যমে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে একটি টেকসই দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ইরাক সরকারের ভাষ্য হচ্ছে ইসলামিক স্টেট নির্মূল হয়েছে এবং দেশটিতে মার্কিন সৈন্য থাকার কোনো কারণ নেই। তবে ইরাক সরকার কোয়ালিশনের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী।
ইরাকে মার্কিন সৈন্যদের উপস্থিতি দেশটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়মিত হামলার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার আলোচনাটি সমাপ্ত হতে বেশ কয়েকমাস লাগবে এবং খুব শীঘ্রই ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্যরা বিদায় নিচ্ছে না বলে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে অতি দ্রুত ইরাক থেকে তাদের সোইন্যরা বিদায় নিলে দেশটির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি শূন্যতার সৃষ্টি হবে যা পূরণ করতে ইরান বা ইসলামিক স্টেট এগিয়ে আসতে পারে। ইরাকে কোনো অঞ্চল দখলে না রাখলেও ইসলামিক স্টেট সমগ্র ইরাক জুড়ে বেশ কিছু স্লিপার সেল মোতায়েন করে রেখেছে, যারা কিছুদিন পরপরই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে থাকে।
news24bd.tv/ab