নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে বিশ্বের প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর 

কেনেথ ইউজিন স্মিথ

নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে বিশ্বের প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর 

অনলাইন ডেস্ক

নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে এবং অক্সিজেন না দিয়ে বিশ্বের প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্য। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কেনেথ ইউজিন স্মিথ নামে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় এই পদ্ধতি। মূলত মারণ ইনজেকশন ব্যবহারের বদলে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি আরও সহজ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলাবামার গভর্নর কে আইভি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নাইট্রোজেন গ্যাসের সাহায্যে শ্বাস রোধ করে প্রথম মৃত্যুদণ্ড সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশ মারণ ইনজেকশনের একটি সহজ বিকল্পের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মার্কিন এই অঙ্গরাজ্য সরকারের দাবি, এটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সবচেয়ে কম বেদনাদায়ক ও মানবিক পদ্ধতি হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত।  

২০২২ সালে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগ করে প্রথম দফায় কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চেষ্টা করা হয়েছিল।

তবে তখন দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। আলাবামার রিপাবলিকান গভর্নর কে আইভি আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পর পর্যালোচনা শেষ হয়।  

আলাবামা সরকারের এ প্রক্রিয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও স্মিথের আইনজীবী। কিন্তু আলাবামা সরকার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীর দাবি, পদ্ধতিটি ঝুঁকিপূর্ণ, পরীক্ষামূলক এবং এটি একটি নির্যাতনমূলক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি। এমনও হতে পারে, এই পদ্ধতিতে ব্যক্তির মৃত্যু না হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।  

এর আগে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে কেনেথ ইউজিন স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। সেই হিসাবে এটি যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম ঘটনা। ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টার বলছে, এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বিশ্বে এটিই প্রথম।  

১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন স্মিথ। এলিজাবেথকে হত্যা করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তাঁর এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন ওই নারীর স্বামী চার্লস সেনেট। কৌঁসুলিরা বলেছেন, স্ত্রীর বীমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে এলিজাবেথ আত্মহত্যা করেন। এ হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১০ সালে এ দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

news24bd.tv/আইএএম