চার মিনিটের চুমুর জন্য জেলে যেতে হচ্ছে

হেনি হেরমোসোকে জড়িয়ে ধরে লুইস রুবিয়ালেসের চুম্বনের সেই মূহূর্ত--রয়টার্সের ফাইল ছবি।

চার মিনিটের চুমুর জন্য জেলে যেতে হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক

গত বছরের ২০ আগষ্ট। সিডনিতে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফিফা নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ওই সাফল্যের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে খেলোয়াড়দের পদক বিতরণের সময় হাজারো ক্যামেরার সামনে স্পেনের সাবেক ফুটবল প্রধান  ও  স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস
হঠাৎ করেই নারী ফুটবলার হেনি হেরমোসোকে জড়িয়ে ধরে গভীর চুম্বন করতে থাকেন। প্রায় চার মিনিট।

 
সেই চুম্বন করার জন্য লুইস রুবিয়ালেসকে কম খেসারত দিতে হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার ( ২৫ জানুয়ারি) স্পেনের এক বিচারক ওই চুমুর ঘটনায় আলোচিত স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরুর প্রস্তাব দিয়েছেন। এই বিচারকের নাম , ফ্রান্সিসকো দে হোর্হে। তিনি বলেছেন,‘চুমুটা পারস্পারিক সম্মতির ভিত্তিতে ছিল না এবং কাজটা একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল।
’সূত্র, সিএনএন ও স্পোর্টস উইকি।  
হেনি হেরমোসো তাকে চুমু দেওয়ার সময় যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে। তিনি তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, লুইস রুবিয়ালেস তাকে মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দিয়েছিলেন।    অবশ্য এর আগেই চুমু দেওয়ার অভিযোগে ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয় লুইস রুবিয়ালেসকে।  
এরপর লুইস রুবিয়ালেসের স্ত্রী স্তিফা এজেনা তাকে  ডিভোর্স দেন অন্য নারীকে চুমু দেওয়ার অপরাধে।  
স্ত্রী স্তিফা এজেনা বলেন, সে খুব কামুক। অবশ্যই বাজে উদ্দেশ্য ছিল ওই চুমু-ঘটনার পেছনে।  

এরপরই যৌন হয়রানির ও জবরদস্তির অভিযোগও গঠন করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে গতকাল স্পেনের অদিয়েন্সিয়া ন্যাসিওনাল আদালতের বিচারক ফ্রান্সিসকো দে হোর্হে বলেছেন, রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে বিচার শেষে জেলে যেতে হবে।  
যদিও রুবিয়ালেস দাবি করেছিলেন, সেই চুম্বন ‘পারস্পারিক সম্মতি ভিত্তিতে’ই হয়েছিল।  
কিন্তু  হেরমোসো তা অস্বীকার করে বলেছিলেন, চুমু দেওয়ার সময় তিনি আমার বিশেষ স্থানেও স্পর্শ করেছিলেন। ’
বিচারকের প্রস্তাব পক্ষে থাকায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুরোধ জানাতে পারবেন। এর পর বিচার কার্যক্রমের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।
ওই চুমুর ঘটনার পর পর রুবিয়ালেসকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। স্প্যানিশ আইন অনুযায়ী, সম্মতি না থাকার পরও চুমু খেলে সেটি যৌন হয়রানি হিসেবে বিবেচিত হয় আর এমন অপরাধের শাস্তি জরিমানা থেকে সর্বোচ্চ চার বছরের জেল।  

news24bd.tv/ডিডি