নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মহাপরিচালকের চিঠিকে অগ্রাহ্য করে নিয়মের তোয়াক্কা না করে ১৬ গ্রেডের কর্মচারীর দায়িত্ব পালন করছেন দশম গ্রেডের এক কর্মকর্তা। দীর্ঘ এক বছর ধরে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন। বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ঘটনাটি ঘটে।
ওই কর্মকর্তার নাম জিয়ারুল ইসলাম।
তবে তিনি দাবি করেছেন, স্বেচ্ছায় নয় বরং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অনুমতিতেই তিনি এই কাজ করছেন।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জিয়ারুল ইসলাম হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত। তিনি দশম গ্রেডের (দ্বিতীয় শ্রেণীর) একজন কর্মকর্তা। কিন্তু বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ১৬তম গ্রেডের ক্যাশিয়ার পদের দায়িত্ব পালন করছেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রেরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সিনিয়র স্টাফ নার্স বা স্টাফ নার্সগণকে নন-নার্সিং কোন কাজে সম্পৃক্ত করা যাবে না। মহাপরিচালকের সেই আদেশ অগ্রাহ্য করে এবং নিয়ম অমান্য করে তিনি ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি জানান, অবৈধ আর্থিক সুবিধা গ্রহণের জন্যই তিনি ওই দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া একজন দশম গ্রেডের (দ্বিতীয় শ্রেণীর) কর্মকর্তা কেন ১৬তম গ্রেডের (তৃতীয় শ্রেণীর) কর্মচারীর দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে জানতে জিয়ারুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক স্যারের অনুমতিতে এই দায়িত্ব পালন করছি। কর্মকর্তা হয়ে কর্মচারি পদে দায়িত্ব পালন মনের দিক থেকে খারাপ লাগলেও উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আদেশে তা করতে হচ্ছে। এর সকল দায়ভার স্যার বহন করবে।
তবে এ বিষয়ে স্যারের অনুমতি ছাড়া কোন কথা বলতে পারবেন না বলেও জানান।
পাবলিক হেলথ নার্স তফুরা খাতুন জানান, তাকে বেশ কয়েকবার ওই দায়িত্ব ছাড়ার জন্য বলা হয়েছে তবুও তিনি ছাড়েননি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাসপাতালের স্টাফ কম থাকায় তাকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে, এটা কোন সমস্যা না। স্টাফ নিয়োগ হলে তাকে এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
news24bd.tv/ab