দেশে বেকারত্ব কমেছে: বিবিএস

গত ছয় বছরে দেশে বেকার কমেছে প্রায় আড়াই লাখ।

দেশে বেকারত্ব কমেছে: বিবিএস

অনলাইন ডেস্ক

দেশে কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বেকার মানুষের সংখ্যা কমছে। গত এক বছরে বেকার কমেছে লক্ষাধিক। গত ছয় বছরে দেশে বেকার কমেছে প্রায় আড়াই লাখ। বেকারের সংখ্যা গত বছর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য।

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ১০ হাজার। ২০২৩ সালের একই প্রান্তিকে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের এক প্রান্তিকে দেশে বেকার বেড়েছে ৪০ হাজার।

আর বেকারত্বের হার বেড়েছে ০ দশমিক ০৫ শতাংশ।

২০২৩ সালে দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে। আগের তুলনায় এক বছরে বেকারত্ব কমছে ০.১৭ শতাংশ। তবে ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে।

গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার; আর নারী বেকার ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার।

আরও পড়ুন: কেন উচ্চশিক্ষা শেষেও বেকার ৩৮.৬ শতাংশ মানুষ?

গত বছরের চতুর্থ এ প্রান্তিকে বেকারত্ব বাড়লেও বিবিএসের বছরওয়ারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সামগ্রিক হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে। গত বছর শেষে বেকার লোকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭০ হাজার। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার।  অর্থাৎ গত এক বছরে দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে এক লাখ ১০ হাজার।

গত বছরের সামগ্রিক হিসাবে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার। আর নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৩০ হাজার।

বিবিএস বলছে, সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, কিন্তু কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং জরিপের আগে ৩০ দিন বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন, তাদেরকে বেকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

news24bd.tv/DHL