এক যুগ দাঁড়িয়ে কালভার্ট, খবর নেই সংযোগ সড়কের 

কালভার্টটি নির্মাণের এক যুগ হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে স্থানীয়দের কোনো কাজে আসছে না এটি

এক যুগ দাঁড়িয়ে কালভার্ট, খবর নেই সংযোগ সড়কের 

অনলাইন ডেস্ক

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিলের ওপর একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল সেই ২০১১ সালে। এরপর দীর্ঘ এক যুগ কেটে গেলেও এর দুপাশে হয়নি কোনো সংযোগ সড়ক। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রশাসন বার বার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ এ সময়ে শুরু হয়নি সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। আর এ কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আশপাশের তিনটি গ্রামের অন্তত দশ হাজার মানুষ।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের তথ্য বনছে, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ-তিননান্দিনা-বোয়ালিয়া বিলের মাঝের সড়কে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয়রা চলাচল করেন কালভার্টের পাশের জমির আইল দিয়ে। বর্ষাকালে সেখানে পানি থাকে। তখন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

 

নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১১ সালে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সংযোগ সড়ক হয়নি। তাই কালভার্টটি অকেজো থেকে গেছে। আর সড়ক নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ দরকার, ইউনিয়ন পরিষদে সেই বাজেট নেই। তাই আমরাও কোনো উদ্যোগ নিতে পারছি না।

বোয়ালিয়া গ্রামের দুই বাসিন্দা শাহজাহান ও আব্দুল হামিদ বলেন, সংযোগ সড়ক না থাকায় এ পথে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। জরুরি কাজে আমাদের অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই পাশের জমিতে পানি জমে। ওই সময় জমির আইল দিয়ে যাতায়াত অনেক কষ্টকর।  

তিননান্দিনা রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, সরকার টাকা খরচ করে কালভার্ট করেছে, কিন্তু কোনো কাজে আসছে না। আর স্কুলশিক্ষার্থী মারুফ, রাজিব, সাথী ও সানজিদা জানায়, সংযোগ সড়ক না থাকায় আমাদের স্কুলে যাতায়াত খুবই অসুবিধা হয়।  পার্শ্ববর্তী জমির আইল দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে কর্দমাক্ত জমিতে পড়ে অধিকাংশ দিনই স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করা হয়েছে। শিগগিরই সমস্যা সমাধান হবে।

news24bd.tv/aa