শীতে শিশুকে গোসল করাতে যেসব বিষয়ে যত্নবান হবেন

সংগৃহীত ছবি

শীতে শিশুকে গোসল করাতে যেসব বিষয়ে যত্নবান হবেন

নিউজ টোয়েন্টিফোর হেলথ

অনেক মা-বাবা মনে করেন শীতে ঘাম হয় না, তাই রোজ গোসলের দরকার নেই। আবার অনেক বাচ্চা ঠান্ডার ভয়ে গোসল করতে চায় না। তবে চিকিৎসকদের মতে শীত হলেও শিশুকে রোজ গোসল করানো উচিত।

এই ঠান্ডার সময় শিশুদের মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হয়।

বিশেষ করে গোসলের সময়, অনেক অভিভাবক ভাবেন, এত শীতে গোসল করালে শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তবে বিশেষ কয়েকটা নিয়ম মেনে শিশুর গোসল বিষয়ে যত্নবান হলে ঠান্ডা লাগা বা শ্লেষ্মাজনিত অসুখ থেকে সহজেই দূরে রাখা যাবে।

গোসলের সেরা সময় কখন?

  • শীতের মাসগুলিতে শিশুকে গোসল করার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
    যেমন-
  • শিশুকে খাওয়ানোর সময় বা ঘুমানোর সময়  গোসল করাবেন না। যদি ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে বা খিদে সময় গোসল করালে শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে।
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে গোসল করান। শিশুরা রুটিন মাফিক জীবন পছন্দ করে, কারণ তারা পরবর্তী কী হবে তার জন্য প্রস্তুত থাকে।
  • কুসুম গরম জলে গোসল করালে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকবে।

​ভালো ম্যাসাজ তেল কোনটি?
যখন শিশুদের কথা আসে, তখন নিশ্চিত করতে হবে আপনারা যে তেলগুলি ব্যবহার করছেন তা প্রাকৃতিক কিনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ব্যবহার করার জন্য ভালো বাদাম তেল, অলিভ অয়েল এবং ঘি। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালে।
নারকেল তেল শরীরের উপর একটি শীতল প্রভাব ফেলে তাই এটি গ্রীষ্মকালে ব্যবহার করা শ্রেয়। তবে এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য একটি দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার। নারকেল তেলের সঙ্গে অলিভ বা বাদাম তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।

যুগ যুগ শিশুদের মালিশ করার জন্য সরষের তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। খাঁটি সরষের তেল শরীরে তাত্ক্ষণিক উষ্ণতা দেয় এবং শিশুর বিকাশকারী পেশীগুলির জন্য দুর্দান্ত। তবে শিশুর ত্বক সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা শ্রেয়।

​ যে বিষয়গুলি মনে রাখবেন

  • শীতকালে শিশুকে গোসল করানোর সময় পা থেকে উপরের দিকে পরিষ্কার করবেন। খেয়াল রাখবেন যে মাথা যেন বেশিক্ষণ ভেজা না থাকে।
  • বাথটাব যদি গোসল করান তাহলে খেয়াল রাখবেন, পানির স্তর বুকের উপরে হওয়া উচিত নয়।
  • শীতে রোজ গোসল করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। জন্মের পর থেকে রোজ শিশুদের গোসল করানোর পরামর্শ দেন। তবে ৫ থেকে ১০ মিনিটের বেশি হওয়া উচিত নয়।
  • খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর গোসলের স্থানটি যেন উষ্ণ হয়। সেখানে যেন ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে না পারে।
  • গোসলের আগে শিশুর গায়ে প্রাকৃতিক কোনো তেল লাগানো যেতে পারে। তবে শিশুর ত্বকে কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তেল লাগানো উচিত নয়।
  • পানি ঠান্ডা বা খুব গরম হওয়া উচিত নয়। কুসুম গরম পানিতে শিশুকে গোসল করানো উচিত। শিশুর গায়ে পানি দেওয়ার আগে হাতে লাগিয়ে দেখে নেওয়া উচিত খুব বেশি গরম কি না।
  • গোসলের সময় গ্লিসারিন সাবান মাখাতে পারেন। তবে, এর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো।
  • গোসল করার পর শুকনো নরম তোয়ালে দিয়ে শিশুকে মুড়িয়ে দিন।
  • যেখানে গোসল করাবেন সেখানে যেন বাইরের শীতল হাওয়া প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • গোসলের পরই মাথা ও কান ভালো করে মুছিয়ে দিন।
  • জামাকাপড় পরার আগে ময়েশ্চারাইজার দিয়ে শিশুর ত্বককে ময়শ্চারাইজ করুন। এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে।

news24bd.tv/health