আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে চান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। তারা বলছেন, সংসদ নেতার পক্ষ থেকে যে আশ্বাস পাওয়া গেছে, তা বাস্তবায়ন করা গেলে সংসদ প্রাণবন্ত হবে। গণমাধ্যমকর্মী আর বিশ্লেষকদের মতে, গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদকে মুখর রাখার দায়িত্ব ক্ষমতাসীন দলের।
৬২ আসনের বড় পরিসরে স্বতন্ত্র আর তুলনামূলক অতি ছোটো পরিসরে মাত্র ১১ আসনের বিরোধী দল এই সংসদে। পাশাপশি সংসদ নেতার ক্ষমতার পরিধিতে বাড়তি সংযোজন। সব মিলে আগামী ৫ বছরের সরকার পরিচালনায় নতুন এক রূপ নিয়ে কাল যাত্রা শুরু করছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। সংসদে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সরকারের সমালোচনা।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেন, ‘আমরা গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবো। এটা হতে পারে— এটা হতে পারে না। বিকল্প প্রস্তাব করতে পারবো। এতে কোনো বাধা নেই। সরকারের বিপক্ষে যায়— এমন কিছু বলবো না। তবে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কথা বলব। ’
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী ৫ বছরের জন্য এই সংসদ হবে প্রাণবন্ত একটি সংসদ। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সরকারের সমালোচনা করতে পারব। ’
সাংবাদিকরা মনে করেন বেশ কিছু ইতিবাচক সুযোগের প্রশ্নে, বিরোধী মোর্চায় যাননি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। এ বিষয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, ‘বাংলাদেশে সংসদ সদস্যরা মনে করেন, সরকারি দলের পক্ষে থাকলে অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ন্যায়সঙ্গত সুবিধাও আছে। ’
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক মনে করেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে সংসদকে আলোচনা মুখর করার দায়িত্ব আওয়ামী লীগেরই। তিনি বলেন, ‘সংবিধানের মধ্যে থেকে আওয়ামী লীগ যদি সংসদ সদস্যদের সুযোগ সুবিধা দেয় তবে সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে। ’
এদিকে অধিবেশন কেন্দ্র করে সংসদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গছে।
news24bd.tv/আইএএম