রাখাইনে ১২ রোহিঙ্গা নিহত: ওএইচসিএইচআর

বিদ্রোহী ও জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৫৫৪ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ফাইল ছবি

রাখাইনে ১২ রোহিঙ্গা নিহত: ওএইচসিএইচআর

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত শুক্রবার দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে অন্তত ১২ রোহিঙ্গা নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ গণহত্যা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছে।

শুক্রবার রাজ্যের হপোন নিও লেইক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে গণহত্যা থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক।

তিনি বলেন, 'মিয়ানমারের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী। সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিরোধীদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধে ব্যাপক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে। '

ভলকার তুর্ক বলেন, 'শুধু সামরিক নেতৃত্বের জবাবদিহি, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি ও বেসামরিক শাসন পুনরুদ্ধারের ওপর জোর দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই সংকটের সমাধান হবে। '

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দখলে নিল আরাকান আর্মি

মঙ্গলবার হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

তাতে বলা হয়, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।

বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিদ্রোহী ও জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৫৫৪ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আর গত বছরে সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ। সংখ্যাটা এর আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ জন বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত তিন বছরে সেনাবাহিনীর কাছে বন্দী থাকা অবস্থায় প্রায় ১ হাজার ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে হেলিকপ্টারে স্নাইপারের গুলি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ নিহত ৪

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন অংশে বিদ্রোহীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন ও ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের সামরিক ঘাঁটি ও বাণিজ্য রুটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ইতোমধ্যে রাখাইনের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

news24bd.tv/DHL