স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও কৃষিসহ সব ধরনের পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা কমানো হয়েছে। খাতভেদে ০ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত এই সহায়তা কমেছে। এ বছর থেকেই তৈরি পোশাক, কৃষি, চামড়াসহ রপ্তানির ৪৩টি পণ্যে নগদ সহায়তার হার কমিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।
এই সার্কুলার চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩ খাতে রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা দিচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধি-বিধান অনুসারে, বিষয়টি রপ্তানিনির্ভর ভর্তুকি হিসেবে বিবেচিত হয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো রকমের প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব চেয়েছে এনবিআর
সার্কুলার অনুসারে, রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক এর পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ দেওয়া হবে। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা আগের ৪ শতাংশই বহাল থাকছে। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্রখাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৩ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তাও ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ দেওয়া হবে। নতুন পণ্য/নতুন বাজার (বস্ত্রখাত) সম্প্রসারণ সহায়তা (আমেরিকা/কানাডা/ইইউ/ইউকে/ভারত/জাপান/অস্ট্রেলিয়া ব্যতীত) ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে দেওয়া হবে ৩ শতাংশ। তৈরি পোশাকের বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দেওয়া হবে দশমিক ৫০ শতাংশ।
এভাবে মোট ৪৩টি পণ্যের প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।
news24bd.tv/DHL