অজানা কারণে ঝিনাইদহে অচল এক ও দুই টাকার কয়েন! 

সংগৃহীত ছবি

নিচ্ছে না ব্যাংক পর্যন্ত

অজানা কারণে ঝিনাইদহে অচল এক ও দুই টাকার কয়েন! 

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ :

ভিক্ষুকরাও নিতে চাচ্ছে না এক ও দুই টাকার কয়েন। ছোট-বড় ব্যবসায়ী, হাট বাজার কোথাও চলে না এই কয়েন। গত আট বছর ধরে অজানা কারণেই ঝিনাইদহ জেলাজুড়ে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে এই কয়েন।  

ব্যবসায়ীরা বলছেন জনসচেতনতার অভাব, তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিলে জেলায় আবারও সচল হবে এক ও দুই টাকার কয়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহে হাট-বাজার, সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়ে খুচরা টাকা ক্রেতা অথবা বিক্রেতা উভয়ই ছাড় দিয়ে চলছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে টিকিট করতে গেলে তারা এই পয়সা গ্রহণ করে না। এমনকি ভিক্ষুকরাও নিতে চাই না। তাছাড়া বড় ব্যবসায়ীরা এসব টাকা গ্রহণ করতে চায় না।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোনও ব্যাংক নিতে চায় না। ফলে অচল হয়ে পড়ে থাকে তাদের কয়েনগুলো। ব্যাংকে গিয়েও পড়তে হয় নানা ঝামেলায়।  

এ কারণে একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে এই কয়েনের আদান প্রদান। ভুক্তভোগী জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন সব ব্যাংকগুলো এই কয়েন নিলে এই টাকার সমস্যা সমাধান হতো।  

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, আমরা দিনে তিনশত টাকা থেকে ৪শত টাকা উপার্জন করি। সেক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা কোন পণ্য ক্রয় করতে গিয়ে সারাদিনে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশী দিতে হয়।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম মন্টু জানান, এক টাকা দুই টাকা না চলার কারণে অনেক সময় আমাদেরকে লসে পড়তে হয়। এ বিষয়ে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলম মোমেন কয়েন নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, যারা ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে এখন থেকে তারা আমাদের এখানে কয়েন নিতে পারবে এবং জমাও দিতে পারবেন। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়েন আছে। তবে কয়েন চলার ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, আমি নিজেও বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছি। আগে মৌখিক ভাবে ব্যাংক কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের বলবো। যদি তারা বিষয়টি না মানেন তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি লিখে বিষয়টি অবগত করা হবে।

news24bd.tv/কেআই

এই রকম আরও টপিক