পরকীয়া প্রেমের পরিণতি ভয়ংকর 

ঝাং ও চেংচেন--ফাইল ছবি।

পরকীয়া প্রেমের পরিণতি ভয়ংকর 

অনলাইন ডেস্ক

যুবকের নাম ঝাং। তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তান থাকলেও প্রেম করতেন ই চেংচেন নামের এক তরুণীর সঙ্গে। ঝাং কয়েকবারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পুরনো সম্পর্ক নিয়েই সুখী হতে। কারণ তার দুটি সন্তান আছে।

ই চেংচেন ও বলতেন, আমাদের এই প্রেমের পরিণতি হয়তো ভাল না। কিন্তু দুজনেই সম্পর্ক থেকে বেরুতে পারছিলেন না। পারস্পারিক টান দিন দিন বেশি বাড়ছিল। ফলে তারা একসময় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
 
কিন্তু একসাথে থাকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ঝাংয়ের দুই সন্তান। তাই তাদের ১৫ তলা থেকে দুই শিশুকে ছুঁড়ে  খুন ফেলেন তিনি। আদালতে বলেছেন, সে সময় তার মাথায় কিছুই কাজ করছিল না। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এই জুটি।  দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পরে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় তাদেরকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) কার্যকর হল তাদের মৃত্যুদণ্ড। সূত্র ,ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও এবিসি অনলাইন।  
জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে দুজনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সময়ে বিবাহিত ছিলেন ঝাং। দুই সন্তানও ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে ছেড়ে চেংচেনের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২০ সালে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। দুই সন্তানকেও নিজের সঙ্গে নিয়ে আসেন ঝেং।
কিন্তু গোটা ঘটনায় প্রবল অসন্তুষ্ট ছিলেন চেংচেন। তাঁর মনে হয়েছিল, ঝাংয়ের সঙ্গে নতুন করে জীবন শুরু করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুই শিশু সন্তান। তাদের নিকেশ করে না দিলে জীবন শুরু করা যাচ্ছে না। তাই ঝাংকে জোর করতে শুরু করেন, যেন দুই সন্তানকে খুন করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৫ তলার জানলা থেকে দুই বছরের কন্যা ও এক বছরের পুত্রকে ছুঁড়ে ফেলে দেন ঝেং।
দুই সন্তানের মৃত্যুতে স্তম্ভিত হয়ে যান ঝাংয়ের প্রাক্তন স্ত্রী। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কাঠগড়ায় তোলেন প্রাক্তন স্বামী ও তাঁর প্রেমিকাকে। গোটা দেশেই আলোড়ন ফেলে দেয় এমন নৃশংস খুনের ঘটনা। শেষ পর্যন্ত ঝাং ও চেংচেনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়  চীনের সুপ্রিম কোর্ট।  

news24bd.tv/ ডিডি

এই রকম আরও টপিক