ঢাকাকে হারিয়ে প্রথম জয় সিলেটের

ইরফান শুক্কুরকে ফেরানোর পর সিলেট দলের উল্লাস - বিসিবি

ঢাকাকে হারিয়ে প্রথম জয় সিলেটের

অনলাইন ডেস্ক

অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম পাঁচ ম্যাচে হারা দলটি আজ দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়ে তুলে নিয়ে প্রথম জয়। ঢাকার বিপক্ষে মোহাম্মদ মিঠুনের দলের জয় ১৫ রানের।  

আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ঢাকাকে ১৪৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় সিলেট।

সেই রান তাড়ায় নেমে রিচার্জ নাগারাভার বোলিং তোপে ১২৭ রানে থামে ঢাকার রানের চাকা।  

লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ঢাকা। সাইম আইয়ুব, সাইফ হাসান, অ্যালেক্স রসরা ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউ। ফলে অল্পতেই থামতে হয় দলটিকে।

ইনিংস সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন পেসার তাসকিন আহমেদ।  সবচেয়ে বড় জুটি ৩৫ রানের, সেটিও আসে  ইনিংসের শেষ উইকেটে।

ঢাকাকে শুরুতেই খাদে ফেলে দেন জিম্বাবুইয়ান পেসার রিচার্ড নাগারাভা। পরপর দুই ওভারে ঢাকার দুই ওপেনারের উইকেট তুলে নেন তিনি। সাইম ১৩ এবং নাঈম শেখ ২ রান করেই ফেরেন সাজঘরে। সেই ধাক্কা ঢাকা কাটায় সাইফ-রসের ব্যাটে। তবে সাইফ (১৭) রানআউট হয়ে ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ।

মাঝওভারে রেজাউর রহমান রাজা এলবিডব্লুউ করেন রসকে (২০)। পরে ইরফান শুক্কুরকে (৪) নাঈম হাসান, মোসাদ্দেক হোসেনকে (১১) বেনি হাওয়েল ফেরালে ম্যাচ চলে আসে সিলেটের দখলে। সেই কাজ আরও সোজা করেন নাগারাভা। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে গুলবাদিন নাইব (১২) এবং আরাফাত সানীকে (২) ফিরিয়ে দেন তিনি।

তখন সিলেট বড় জয়ের পথে থাকলেও, শেষ উইকেট জুটিতে তাসকিন আহমেদ ঝোড়ো গতিতে তুলতে থাকেন রান। চারে ফোয়ারা ছুটিয়ে মাত্র ১১ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় কাজে আসেনি তাসকিনের এই ইনিংস। অপরপ্রান্তে উসমাদ কাদির অপরাজিত ছিলেন ৬ রান করে।  

এর আগে, টসে জিতে মোসাদ্দেক হোসেন যে ভুল সিদ্ধান্ত নেননি তা শুরুতেই প্রমাণ করে দেন পেসার শরীফুল ইসলাম। নিজের প্রথম দুই ওভারে সিলেটের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন এই বাঁহাতি পেসার।

সিলেটকে প্রথম ওভারেই ধাক্কা দেন শরীফুল। তার ইনসুইং করে ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়ে গোল্ডেন ডাক নিয়ে সাজঘরে ফেরেন শামসুর রহমান শুভ। এরপর চতুর্থ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং ইনফার্ম জাকির হাসানের উইকেট তুলে নিয়ে সিলেটকে খাদের কিনারায় ঠেলে দেন শরীফুল। রানখরায় ভোগা শান্ত ৩ রান করে বোল্ডআউট হন। জাকিরের ভাগ্যেও ছিল একই পরিণত। প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

সেই ধাক্কা সিলেট কাটায় মিঠুন ও সামিত প্যাটেলের কল্যাণে। দুজনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৭ রান। সামিত ৩২ রান করে ফিরলেও মিঠুন উইকেটে ছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তাসকিন আহমেদের বলে উইকেট দেওয়ার আগে ৪৬ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। এর মধ্যে আরিফুল হকের ৯ বলের ২১ রানের ক্যামিও সিলেটকে নিয়ে যায় সম্মানজনক স্কোরের পথে। শরীফুলের চতুর্থ শিকার হন আরিফুল।

এছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানী। সামিতের পর বেনি হাওয়েলের (১১) উইকেট তুলে নেন তিনি। অপর উইকেট পেয়েছেন উসমাদ কাদির। তার শিকার ১ রান করা রায়ান বার্ল।

news24bd.tv/SHS