১০ বলে ৩৭ রান নিয়ে বরিশালকে জেতালেন মিরাজ-মালিক

১০ বলে ৩৭ রান নিয়ে বরিশালকে জেতালেন মিরাজ-মালিক

অনলাইন ডেস্ক

শুরুটা খুব একটা যে খারাপ হয়েছে তা বলা যাবে না। তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ফরচুন বরিশাল ছিল আরও একটি হারের পথে। শেষ দুই ওভারে দলটির দরকার ছিল ৩৭ রান। উইকেটে ছিলেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

এমতাবস্থায় বরিশালের পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিল খুব কমই। তবে এ দুই ব্যাটার দেখিয়েছেন চাপের সময়েও কীভাবে ব্যাট চালাতে হয়। তাদের কল্যাণে বরিশাল তো জিতেছেই, সেটাও দুই বল হাতে রেখে।  

আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মিরাজ-মালিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বরিশালের জয় ৫ উইকেটের।

আসরে এটি বরিশালের তৃতীয় জয়। অপরদিকে, পঞ্চম ম্যাচে এসে এই প্রথম হারের মুখ দেখলো খুলনা টাইগার্স।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বরিশাল দ্বিতীয় ওভারেই হারায় উইকেট। নাহিদুল ইসলামকে উড়িয়ে মারতে এসে এনামুল হক বিজয়ের স্টাম্পিংয়ের শিকার হন আহমেদ শেহজাদ। কোনো রান না করেই ফেরেন তিনি। এরপর জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার এবং মুশফিকুর রহিম দিয়েছিলেন ভালো কিছুর ইঙ্গিত। কিন্তু কেউই করতে পারেননি ইনিংস বড়।  

তামিম ২০ রান করে ফাহিম আশরাফকে উইকেট দেওয়ার পর একই বোলারের শিকার হন ২৬ রান করা সৌম্য। মুশফিকও শেষ করে আসতে পারেনি ম্যাচ। ২৭ রান করে তিনি বিদায় নেন নাসুম আহমেদের স্পিনে পরাস্ত হয়ে। বরিশালকে আরও বিপদে ফেলে দেন আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪ রান করেই থামেন তিনি।  

পাঁচে নামা শোয়েব মালিক শুরু থেকেই খেলছিলেন রয়ে-সয়ে। তবে দরকারের সময়ই জ্বলে ওঠেন তিনি। স্লগ ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মিরাজও। ৩ ছক্কায় ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচ হাতের মুঠোয় আনেন তিনিই। এরপর ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করেন মালিক। মিরাজ মাত্র ১৫ বলে ৩১ রান করে থাকেন অপরাজিত। ২৫ বলে ৩ ছক্কায় ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন মালিক।  

ব্যাট হাতে ১৩ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ক্যামিও খেলার পর বল হাতে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন খুলনা অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। তবে তার এই অলরাউন্ড নৈপুণ্য কোনো কাজেই এলো না শেষ ওভারে লঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা ১৮ রান ডিফেন্ড করতে না পারায়। ইনিংসের শেষ ওভারে প্রথম ৪ বলেই ১৮ রান খরচা করেন শানাকা। ফলে জয় পায় বরিশাল।

এর আগে, লেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা। পারভেজ হোসেন ইমনের ৩৩, মোহাম্মদ নেওয়াজের অপরাজিত ৩৮ আর ফাহিম আশরাফের ৩২ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের পুঁজি পায় দলটি।  

তৃতীয় ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট হারানো খুলনা নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে উইকেট। একটা পর্যায়ে ৮৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তবে দুই পাকিস্তানি নেওয়াজ ও ফাহিমের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজি পায় দলটি। নেওয়াজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩৮ রান নিয়ে। ইনিংসের শেষ বলে বিদায় নেওয়ার আগে ১৩ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ফাহিম। এ দুই পাকিস্তানি অষ্টম উইকেটে যোগ করেন ৬৭ রান।

১০০ রানের আগেই খুলনাকে বেধে ফেলার কাজটি ভালোভাবেই করেছিলেন বরিশালের বোলাররা। তাইজুল ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ২ উইকেট নিতে শোয়েব মালিক খরচ করেছেন ২৪ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ইমরান ও আকিফ জাবেদ। তবে খরুচে ছিলেন দুজনেই।

news24bd.tv/SHS