৫ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের 

৫ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের 

অনলাইন ডেস্ক

প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে ফেলার পর দ্রুত উইকেট হারানো, তারপরও দুরূহ সমীকরণ মিলিয়ে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশের যুবারা। তবে বেনোনিতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ রানে হেরেছে জুনিয়র টাইগাররা। এই হার টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দলের।

আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের বিপক্ষে শুধু জিতলেই চলতো না বাংলাদেশের, নেট রানরেটে এই দলকে পেছনে ফেলে শেষ চারের টিকিট কাটতে মেলাতে হতো বেশ কিছু সমীকরণ। টসে জিতে শুরুতে বোলিং করে পাকিস্তানকে যখন মাত্র ১৫৫ রানেই আটকে ফেলে জুনিয়র টাইগাররা, সেমির স্বপ্ন তখন রঙিন। ৩৮.১ ওভার বা ২২৯ বলে জিতলেই সেমিতে চলে যেত বাংলাদেশ।  

সেই লক্ষ্যে শুরুতেই দ্রুত তোলায় মনোযোগ দেন জিশান আলম।

তবে এটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায়। ১২ বলে ১৯ রান করেই বিদায় নেন তিনি। এক ওভার পর ফিরে যান আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলিও (৪)। ৩৬ রানে দুই ওপেনার হারানো বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৪৭ রানে। এবার চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান বিদায় নেন ২০ রান করে।

এরপর একটা জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। তবে মাত্র ৫ বলের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটার ফিরলে চাপে পড়ে যায় জুনিয়র টাইগাররা। সেই চাপ আরও বাড়ে শেখ পারভেজ জীবন ফিরলে। আরিফুল ১৪, আহরার ১১ এবং জীবন ফেরেন ব্যক্তিগত ২ রান করে। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৮৩, নেই ৬ উইকেট।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিপক্ষে কত বলে জিতলে সেমিতে খেলবে বাংলাদেশ?

সেখান থেকে বাংলাদেশকে পথ দেখান মোহাম্মদ শিহাব ও অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বী। গড়েন ৪০ রানের জুটি। তবে দুজনের কেউই দায়িত্ব নিয়ে শেষ পর্যন্ত উইকেটে পড়ে থাকতে পারেননি। শিহাব ২৬ রানে ফেরার পর একই পথ ধরেন ১৩ রান করা রাব্বী। এরপর শূন্য হাতে ইকবাল হোসেন রানআউট হয়ে ফিরলে আশা ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ।  

কিন্তু বল হাতে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও জ্বলে ওঠেন রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ। তার ব্যাটেই স্বপ্ন বুনছিল কোটি বাঙালি। তিনিও ছিলেনও সে পথে। কিন্তু অপরপ্রান্তে পাননি সহযোগিতা। ইনিংসের ৩৫.৫ ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে বোল্ড হন মারুফ মৃধা। ১৫০ রানেই গুটিয়ে যায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ইনিংস। বর্ষণ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ২১ রান করে।  

পাকিস্তানের হয়ে একাই ৫ উইকেট তুলে নিয়ে নায়ক বনেছেন উবাইদ শাহ। ৩ উইকেট শিকার করেছেন আলী রাজা।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান এগোচ্ছিল বড় সংগ্রহের পথেই। উদ্বোধনী জুটিতেই দলটি তুলে ফেলে ৩৭ রান। কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় দলটির রানের চাকা। সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে আরাফাত মিনহাসের ব্যাট থেকে। ২৬ রান করেন শাহজাইব খান।

আরও পড়ুন: বাঁচা-মরার ম্যাচে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি জুনিয়র টাইগাররা

বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ এবং শেখ পারভেজ জীবন। বর্ষণ ৮ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেট। ৪ উইকেট নিয়েছেন জীবনও। তবে তিনি ছিলেন আরও কিপটে। ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচ করেন তিনি। ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক রাব্বী।

news24bd.tv/SHS