‘ডনদাদা’ নামে পরিচিত সত্যেন্দ্র  গ্রেপ্তারের পর জানালেন ভয়ংকর তথ্য

সত্যেন্দ্র সিওয়াল--ফাইল ছবি।

‘ডনদাদা’ নামে পরিচিত সত্যেন্দ্র গ্রেপ্তারের পর জানালেন ভয়ংকর তথ্য

সত্যেন্দ্র সিওয়াল। জন্ম, ভারতের উত্তর প্রদেশের হাপুর এলাকার শাহমহিউদ্দিনপুর গ্রামে। কলেজ বয়সে মেধাবী ছিলেন ও বাম রাজনীতি সমর্থন করতেন। শোনা যায়, কিছুদিনের জন্যে উগ্রপন্থীদের দলে যোগ দিয়েছিলেন।

পরে বাবা’র মৃত্যুসংবাদ পেয়ে দেখতে এসে জানেন, বাবার মৃত্যুসংবাদ ছড়ানোই হয়েছিল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যা আসলে সত্য নয়। সেবারের পর আর উগ্রপন্থীদের কাছে ফিরে যাননি। কারণ ওই লাইনে না বলে চলে আসা মানে ওয়াদা ভঙ্গ করা। আর ওয়াদা ভঙ্গ করলে গুলি করে হত্যা।
তাই  সত্যেন্দ্র  শহর পাল্টিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেন।  
ধাপে ধাপে সব পরীক্ষা দিয়ে আইসিএস ( ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায়ও পাস করেন। হয়ে উঠেন কেতাদুরস্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমলা। ২০২১ সালে  নিয়োগ পান রাশিয়ায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে। মাল্টি টাস্কিং স্টাফ (এমটিএস) হিসেবে। পরে পদোন্নতি হয়। ভারতভিত্তিক নিরাপত্তা সহকারী (আইবিএসএ) হিসেবে কাজ করছিলেন।  
সেসময়ই আনারাখা নামের এক রুশ তরুণীর সঙ্গে পরিচয়। সেই তরুণী পরিচয় করিয়ে দেয় মস্কোর একটি ঘরোয়া আড্ডায় আলতাফ পীরজাদা নামের পাকিস্তানী যুবকের সঙ্গে। তারপর আর সময় নষ্ট করেননি সত্যেন্দ্র সিওয়াল। টাকা কামানো, নারী, ক্যাসিনো এগুলোই হয়ে উঠে জীবনের অংশ।  
এতোদিন   ভারতীয় দূতাবাসে কাজ করছিলেন পাকিস্তানের আইএসআই চর। রাশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসে নিযুক্ত এই সত্যেন্দ্র সিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) তাঁকে মিরাটে গ্রেফতার করেছে রোববার( ৪ ফেব্রুয়ারি)।
জিজ্ঞাসাবাদে সত্যেন্দ্র সিওয়াল এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সূত্র , হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ ও খবর আজতক।
সম্প্রতি গোপন সূত্র থেকে সন্ত্রাসবিরোধী কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, ভারতীয় সেনাবাহিনী-সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য পাচার করার জন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের প্রলুব্ধ করছে আইএসআই। তথ্য পাচারের বিনিময়ে তাঁদের আর্থিক প্রণোদনার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। আর এভাবে তথ্য পাচারের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে এবং বিদেশে ভারতের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়ছে।
সত্যেন্দ্র সিওয়াল  স্বীকার করেছেন যে পাকিস্তানের আইএসআই-এর হয়ে চরবৃত্তি করতেন ।
বিনিময়ে প্রচুর টাকা পেতেন ও নারীসঙ্গ। মস্কোতে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িতরা তাকে ‘ডনদাদা’ ডাকত। আলতাফ পীরজাদার সঙ্গে তিনি দুবাই, সিঙ্গাপুর সফর করেছেন। তিনি জানান, গুপ্তচরবৃত্তি খুব একসাইটিং। অনেক নারীও জড়িত একাজে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন তিনি ভুল করেছেন।   

news24bd.tv/ডিডি