কানাডার এজিনকোর্ট কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত হলো এসএসসি ১৯৯৮ - এইচ এস সি ২০০০ ব্যাচের পিঠা উৎসব। গত ২৭ জানুয়ারির এই আয়োজন যেন সেই মিলনমেলার এক অনবদ্য ইতিহাস হয়ে রইলো।
শনিবার পিঠা উৎসব শুরু হয় বিকেল ৫টা থেকে। যদিও আয়োজকদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় সকাল থেকেই, কেউ ছোটে পিঠা আনতে, কেউ বা কোমল পানীয়, আবার কেউ ছোটে রাতের খাবারের খোঁজে।
একে একে সবাই আসতে থাকে নানান দেশিয় সাজে। মেয়েরা বাংলার চিরাচরিত শাড়ি আর অলংকারে সাজিয়ে তোলে নিজেদেরকে।উৎসবের শুরুতেই ছিল দারুণ স্বাদের চটপটি আর ফুচকা। আর তা ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে সেখানে ছিল একটা চটপটি ভ্যান।
পিঠার ডালি সাজিয়ে উৎসবের ভলেনটিয়ার বন্ধুরা সকলের হাতে তুলে দিতে থাকে ভাপা, পাটিসাপটা, ভর্তাসহ ঝাল চিতই, তালের বড়া, নারকেল পুলি, ডিমের পিঠা, মুড়ির মোয়া। পিঠা পেয়ে সে এক দারুণ অনুভূতি সবার মাঝে, যেন দেশে বসে মায়ের হাতে পিঠা খাওয়া।
পিঠা খাওয়ার সাথে সাথে কামরুন নাহার হীরার উপস্থাপনায় শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন তন্দ্রা, রাইয়ান, জিনিয়া এবং সাফায়েত। কৌতুক পরিবেশন করে পুলক আর স্ট্যান্ডআপ কমেডি করে মোস্তফা।
উৎসবের স্পন্সরদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। রিয়েল্টর মহি রহমতউল্লাহ, রিয়েল্টর মো. আজিম এবং স্পেসশেয়ার এর পরিচালক কামরুন নাহার এর হাতে ক্রেস্ট তুলে দিয়ে তাদের কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। ছোট বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গিফট কার্ড।
আয়োজনের শেষ পর্বে ছিলো ডিনার আর লটারিতে প্রাপ্ত বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া। অনুষ্ঠান শেষ হয় ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে।
এবারের পিঠা উৎসবের সব থেকে বড় পাওয়া সবার তৃপ্তির হাসি নিয়ে বাড়ি ফেরা। যেই হাসি আয়োজকদের উৎসাহিত করে তোলে আগামীতে আরও বড় কিছু করার।