বইমেলায় প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের দুটি বই

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও এবারের মেলায় আসা তার দুটি বই

বইমেলায় প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের দুটি বই

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। এ বছর বইমেলায় এসেছে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের দুটি বই। একটি ‘অন্ধকার নামতে পারেনি’। অপরটির নাম ‘চোর এসেছিল গল্প করতে’।

‘অন্ধকার নামতে পারেনি’ ৭টি গল্পের সংকলন। সন্ধানপুর, অন্ধকার নামতে পারেনি, ভুলে যাওয়া নাম, পদ্মপাতা, বর্ষা মুখর রাতে, প্রেমিকার বিয়ের অনুষ্ঠান, পাতাবাহর- এই সাতটি গল্প নিয়েই রচিত বইটি। ইমদাদুল হক মিলনের সাম্প্রতিককালে লেখা এই গল্পগুলোর মধ্য দিয়ে সমাজের বিভিন্ন দিক উন্মোচিত হবে পাঠকের চোখে।

এ বইটি যেন এই সময়কার এক প্রখর আয়না।

যে আয়নায় সমাজব্যবস্থার বহু খুঁটিনাটি ধরা পড়ে। পাঠককে ভাবিত করবে গ্রন্থের প্রতিটি গল্প। বইটি বাজারে এনেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনন্যা। এর প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটির বাজারমুল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। বইমেলায় অনন্যা প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।

অপর বই ‘চোর এসেছিল গল্প করতে’, এটি আটটি গল্পের সংকলন। ‘চোর এসেছিল গল্প করতে’ গল্পটি হাসি-আনন্দে ভরপুর। আবার ‘ভূতপাখি’ নামেই বোঝা যায় গল্পটি ভৌতিক। কুমিরের হাত থেকে কেমন করে বাঁচল আয়নাল? সত্যিই কী ‘পাতালপুরি’র রাজকন্যা হয়ে গেল শিউলি? বানরটি কী আসলেই বানর, নাকি ভূত? তিনজন মানুষ এক রকম হয় কেমন করে? অথবা পাখিরা কেমন করে বাঁচায় রতনকে? এই বই এমন সব বিষয়ের গল্পে ভর্তি।

‘চোর এসেছিল গল্প করতে’ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। এটিও বাজারে এনেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনন্যা। বইটির বাজারমূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। বইমেলায় অনন্যা প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।

ইমদাদুল হক মিলন এদেশের একজন প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক। ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে জন্ম তার। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম গল্প ‘বন্ধু। ’ প্রথম উপন্যাস ‘যাবজ্জীবন’ ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়েছিল বাংলা একাডেমির ‘উত্তরাধিকার’ সাহিত্য পত্রিকায় ১৯৭৬ সালে। বাংলাদেশে সাহিত্যের পাঠক সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা এই গুণী লেখকের। তার তিন পর্বের দীর্ঘ উপন্যাস ‘নূরজাহান’ কালজয়ী সাহিত্য হিসেবে গণ্য।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশ বিদেশে বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, তিনবার সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৫ সালে জাপানে তাকেশি কায়েকো মেমোরিয়াল এশিয়ান রাইটারস লেকচার সিরিজে বাংলা ভাষার একমাত্র লেখক হিসেবে অংশগ্রহণ, ২০১২ সালে নূরজাহান উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন ভারতের আইআইপিএম সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার।

২০১৮ সালে পেয়েছেন কাজী মাহবুবউল্লাহ পুরস্কার এবং আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার। ২০১৯ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক।