বিএসএমএমইউতে প্রথম বোনম্যারো প্রতিস্থাপন

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বিএসএমএমইউতে প্রথম বোনম্যারো প্রতিস্থাপন

অনলাইন ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সেন্টার ফর ব্লাড, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন অ্যান্ড স্টেম সেল থেরাপি সেন্টারে প্রথমবারের মতো ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ২২ হাজার টাকা।

আজ সোমবার এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

এ সময় অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনে কারিগরি বিষয় উপস্থাপন করেন হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন শাহ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় স্থায়ীভাবে গত ১ জানুয়ারি সেন্টার ফর ব্লাড, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন অ্যান্ড স্টেম সেল থেরাপি সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেন্টারে প্রথমবারের মতো সফলভাবে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বাসিন্দা ৬৩ বছর বয়সী এনামুল হক চার মাস আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে আসেন।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায়, এনামুল হক মাল্টিপল মায়োলোমা বা রক্তের জটিল ক্যানসার রোগে আক্রান্ত। এরপর হেমাটোলজি বিভাগে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। চিকিৎসকেরা তাঁর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে গত ৭ ডিসেম্বর তাঁকে ভর্তি করা হয়। অটোলোগাস পদ্ধতিতে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৭ জানুয়ারি রোগীর শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ করে ওই দিনই কন্ডিশনিং থেরাপি দেওয়া হয়। ১৮ জানুয়ারি হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহর নেতৃত্বে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করেন। ৩০ জানুয়ারি রোগীর নিউটোফিল রিকভারি হয়। ট্রান্সপ্লান্টেশনের ১৮ দিন পরে রোগীর শরীরে কোনো ধরনের জটিলতা দেখা যায়নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ব্লাড, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন অ্যান্ড স্টেম সেল থেরাপি সেন্টারে প্রথম রোগীর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনে মাত্র ৩ লাখ ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দেশের বেসরকারি হাসপাতালভেদে এতে ৬ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। দেশের বাইরে এ ধরনের চিকিৎসায় ব্যয় হয় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সেন্টারটি মাসে ৩ থেকে ৫টি অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, রক্তরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/aa