চীনকে চ্যালেঞ্জ করে শ্রীলঙ্কায় ভারতের সাবমেরিন, নজর বাংলাদেশ সীমান্তেও

এই সেই ভারতীয় সাবমেরিন--ফাইল ছবি।

চীনকে চ্যালেঞ্জ করে শ্রীলঙ্কায় ভারতের সাবমেরিন, নজর বাংলাদেশ সীমান্তেও

অনলাইন ডেস্ক

১৯৬২ সালের ২৩ অক্টোবর। সেদিন চীনা সেনারা ভারতীয় সীমান্তে উত্তর–পূর্ব ভারতের হিমালয় অঞ্চলে ঢুকে গোলাবর্ষণ শুরু করে। এ এলাকা চীন ও ভুটান সীমান্তবর্তী। তখন নর্থ–ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজিন্সি বা এনইএফএ নামে পরিচিত।

এখন সেই অঞ্চল ভারতের একটি রাজ্য। নাম অরুণাচল প্রদেশ। ১০ লাখের বেশি মানুষের বাস সেখানে। এ পর্যন্ত চীন অরুণাচলকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন ও ভারতের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে একটি বই লিখেছেন সুইডিশ সাংবাদিক ও লেখক বার্টিল লিন্টনার।

বইটির নাম ‘চায়নাস ইন্ডিয়া ওয়ার: কলিশন কোর্স অন দ্য রুফ অব দ্য ওয়ার্ল্ড'। তিনি বলেন, তিনি এ বইতে চীন ও ভারতের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরমধ্যে একটি হচ্ছে দুই দেশই দুই দেশকে নজরদারিতে রাখে সর্বক্ষণ।

ভারতীয় নৌ বাহিনীর ডিজেলচালিত আইএনএস কারাঞ্জ সাবমেরিনটি শ্রীলংকার বন্দরে নোঙ্গর করেছে। মালদ্বীপে চীনের একটি গবেষণা জাহাজ নোঙ্গর করার পর ভারত শ্রীলঙ্কায় এই সাবমেরিন পাঠালো। ভারতের সাথে যখন মালদ্বীপের কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে তখন এইসব ঘটনা ঘটছে।

ভারতের সাবমেরিনটি গত শনিবার শ্রীলংকার কলম্ব বন্দরে পৌঁছায়। শ্রীলংকার নৌবাহিনী এক্স পেইজে দেয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দিয়েছে। সাবমেরিনটি কলম্বো-বন্দরে পৌঁছানোর পর শ্রীলংকার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

এর আগে জানুয়ারি মাসে চীনের একটি গবেষণা জাহাজ মালদ্বীপে নোঙ্গর করে। শ্রীলঙ্কার বন্দরে চীনের যেকোনো গবেষণা জাহাজকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত রোববার ভারতের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা চীনা জাহাজের তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহের জন্য এসব জাহাজকে ব্যবহার করা হতে পারে। সেজন্য ভারত আরও জাহাজ পাঠাচ্ছে। সূত্র, পার্স টুডে ও জি নিউজ।  

মালদ্বীপ গত সপ্তাহে স্পষ্ট করেছে যে, জিয়াং ইয়াং হং-০৩ নামের জাহাজটি তার পানিসীমায় গবেষণা পরিচালনা করবে না। মালদ্বীপ আরো দাবি করেছে, জাহাজের কর্মীদের অদল বদল করার জন্য চীনের অনুরোধে ওই জাহাজকে ডক করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বেইজিংয়ের সাথে মালদ্বীপের সম্পর্ক জোরদার করা এবং নয়াদিল্লির সাথে মালদ্বীপের সম্পর্ক অবনতি হওয়ার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটলো। সম্প্রতি  ভারতের প্রায় ৮০ জন সেনাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মালদ্বীপ।

জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মিয়ানমারের আর্মিরা প্রবেশের পর ভারত এদিকের সীমান্তেও নজর রাখছে। কারণ চীন মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের পক্ষে রয়েছে। বাংলাদেশকে যাতে ব্যবহার না করে সেদিকেও সাবধানী ভারত আর তা নিজেদের স্বার্থে।

news24bd.tv/ডিডি