রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম গং, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পরস্পর যোগসাজশ করে বিক্রীত জমির সৃজনকৃত জাল দলিল বন্ধক দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ গ্রহণের নামে ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান নির্বাহীকে চিঠি দিয়েছে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউণ্ডেশন।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন চিঠি দেয়। চিঠিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর প্রধান নির্বাহীকে পাঠানো হয়।
আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের চিঠিতে বলা হয়, সালাম ও সম্মানপূর্বক আপনার সদয় অবগতি ও তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য নিবেদন এই যে, সম্প্রতি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম গং, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পরস্পর যোগসাজশ করে বিক্রীত জমির সৃজনকৃত জাল দলিল বন্ধক দেখিয়ে ঋণ গ্রহণের নামে ব্যাংকের ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা লোপাট করেছে।
জনস্বার্থে বিশাল অঙ্কের এই অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক।আরও পড়ুন : রংধনুর রফিক ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা একই জমি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে সেই বিক্রিত জমি উক্ত ৩টি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রথমে রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে কাউসার আহমেদ অপু নিজেদের জমি বিক্রি করেন। এরপর বিক্রি করা জমি নিজের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও ক্রয়-বিক্রয় করে জাল দলিল সৃজন করেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জমি ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে জালিয়াতি করে ৩টি ব্যাংকের ৯৪৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৭৫ কোটি টাকা নিয়েছেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে, যা সুদসহ এখন দাঁড়িয়েছে ৭২৫ কোটি টাকায় । ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ২৭০ কোটি টাকা, সুদ-আসলে যা এখন বেড়েছে । ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ২০০ কোটি টাকা, এই ব্যাংকেরও সুদ-আসলে পাওনা বেড়েছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পাওনা সুদ-আসলসহ পাওনা ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকারও বেশি।
রফিকুল ইসলাম গং তিনটি ব্যাংক থেকে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিলেও মর্টগেজ হিসেবে রাখা হয়েছে একই জমি। সেই জমিগুলোর অধিকাংশই ঋণ নেওয়ার আগে এবং ঋণ নেওয়ার পরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জমি ব্যাংকে বন্ধক রাখলেও সেই তথ্য গোপন করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছেন। রফিকুল ইসলাম এমন প্রতারণা করে ৪২৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন।
news24bd.tv/desk