আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষৎ করেন ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি। এসময় নেপাল রাষ্ট্রদূতের সাথে ছিলেন নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ইয়োজানা বামজান।
সাক্ষাৎকালে নেপাল সরকারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বিশেষ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে কনিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চিন্তা এবং এর সম্প্রসারণ সবই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্কনিসৃত বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শী চিন্তার ফসল হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা এখন বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় ৭৮টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ধারণাকে গ্রহণ করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আগামীতে এসব ক্লিনিকের সেবার পরিধি আরও বিস্তার করার চিন্তাভাবনাও চলছে। নেপাল সরকার এই কনিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে নিজ দেশে কাজে লাগাতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবার চেষ্টা করবো।
আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে বর্তমানে কর্মডেবা নামে একজন ভুটানের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভুটানে যে রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হয়নি তার চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে। অনুরূপভাবে নেপাল থেকেও কোন গুরুতর রোগী চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে এলে তাদেরকেও চিকিৎসা সেবা দিতে সচেষ্ট থাকবো।
নেপাল রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে নেপালের আরো অধিক সংখ্যাক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার বিশেষ সুযোগ প্রদানের অনুরোধ করেন। একই সাথে নেপাল-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য পর্যটন খাত তৈরি, উভয় দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি করা, চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও আলোচনা করেন।
news24bd.tv/health
