দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন এষা-ভরত

দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন এষা-ভরত

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর বলিউড অভিনেত্রী এষা দেওলের সংসারে ভাঙন ধরেছে। বলিউডের গুণী অভিনেত্রী হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্র কন্যার এষা দেওল। ২০১২ সালে পেশায় হিরের ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন নায়িকা।

অনেকদিন ধরেই খবর ছিল, দুই মেয়েকে নিয়ে মা হেমার সঙ্গে থাকছেন।

অন্যদিকে, ভরত নাকি রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। তবে একা নন, কোনও এক ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে।

 মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এষা-ভরতের বিচ্ছেদ ঘোষণার পোস্ট প্রকাশ্যে আসে। কয়েক সপ্তাহ ধরে জল্পনা-কল্পনার পর এষা দেওল এবং ভরত তখতানি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিশ্চিত করেছেন।

দম্পতির তরফে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি লেখা ছিল ‘সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে’ দুজনে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে, রাধ্যা ও মীরায়া।

২০২০ সালে একটি বই লেখেন এষা। যার নাম ছিল Amma Mia: Stories, Advice and Recipes। যেখানে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন নিজেদের অভিভাবকত্বের সফর। আর সেই বইতেই অভিনেত্রী লিখেছিলে কীভাবে ২০১৯ সালে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর ‘অবহেলিত’ বোধ করেছিলেন তাঁর স্বামী ভরত।

আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তারিখ জানা গেল

বইয়ে লেখা হয়, ‘আমার দ্বিতীয় সন্তানের পরে, অল্প সময়ের মধ্যে আমি লক্ষ্য করি যে, ভরত আমার সঙ্গে খামখেয়ালী আচরণ করছে, যেন সে বিরক্ত। আসলে ও অনুভব করেছিল যে, আমি তাঁকে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছি না। একজন স্বামীর পক্ষে এইরকম অনুভব করাটা খুবই স্বাভাবিক কারণ সেই সময়, আমি রাধ্যার প্লে স্কুলের এবং মিরায়াকে খাওয়ানো নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। সঙ্গে চলছিল আমার বই লেখা ও আমার প্রযোজনা সংস্থার একাধিক মিটিং। আমি ধীরে ধীরে নিজের ত্রুটি বুঝতে পারি। আমার কাছে ভরত একটা নতুন ব্রাশ চেয়েছিল, আর সেটা আমার মাথা থেকেই বেরিয়ে যায়, কখনও আবার ওর জামা আয়রন করা হয়নি তো কখনও খাবার ছাড়াই অফিসে চলে গেছে, আমি খেয়ালও করিনি। যদিও এগুলোকে খুব জলদিই শুধরে নিয়েছিলাম। ’

news24bd.tv/TR
 

এই রকম আরও টপিক