টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি, কাল গেজেট

টাঙ্গাইল শাড়ি

টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি, কাল গেজেট

অনলাইন ডেস্ক

জিআই পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দিচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর-ডিপিডিটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।

এর বাইরে দেশের আরও ৫টি পণ্যকে শিগগিরই ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর-ডিপিডিটি এই স্বীকৃতি দেবে বলে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

ওই ৫ পণ্যের মধ্যে রয়েছে—যশোরের খেজুরের গুড়, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, নরসিংদীর লটকন, রাজশাহীর মিষ্টি পান।  

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব পেতে গত মঙ্গলবার পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম।  

জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি প্রকৃতপক্ষে যে কোনো বিচারে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য দাবিদার। আমরা বিগত ৩ মাস ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য ডকুমেন্টেশন কার্যক্রম করেছিলাম।

 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে করা একটি পোস্টে বলা হয়- ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত, একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্য্যরে মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন। ’ এরপর থেকে টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল মানববন্ধন করা হয়েছে।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক