মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত কয়েকদিন ধরে চলছে ভয়াবহ সহিংসতা। এর জের ধরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্ত অঞ্চল। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সীমান্ত ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। খুলছে বাজার, স্কুলে আসছে শিক্ষার্থীরা।
সকালে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কিছু দোকান খুললেও ক্রেতা নেই। নিরাপদ আশ্রয়ে যারা ঘর ছেড়েছিলেন তারাও ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসএসসি পরীক্ষার্থীরা স্কুলে আসছেন।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা শিগগিরই স্বাভাবিক হবে তাদের জীবন যাপন। দ্রুতই শিক্ষার্থীরা আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারবে বলে আশা তাদের।
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী ক্রমান্বয়ে দক্ষিণে এগোচ্ছে। গৃহযুদ্ধও সরছে সে দিকেই। সীমান্তে কমেছে গুলির শব্দ, তবে এরই মধ্যে আশ্রয় কামনায় মিয়ানমারের আরও ৬৩ সীমান্তরক্ষী টেকনাফ দিয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে।
তুমব্রু থেকে ঘুমধুম হয়ে থ্যাংখালী পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে আপাতত বন্ধ রয়েছে গোলাগুলি। তবু সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
তবে বুধবার বিকেলেও কিছু গুলির শব্দ শোনা গেছে হোয়াইক্যংয়ের ওপারে। ধারনা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের জান্তারিরোধী গোষ্ঠী ক্রমান্বয়ে দক্ষিণের দিকে যাচ্ছে।
