সন্তানের মা হলে পাওয়া যাবে ৮২ লাখ টাকা

নবজাতকসহ কোরিয়ান এক মা--ফাইল ছবি।

সন্তানের মা হলে পাওয়া যাবে ৮২ লাখ টাকা

বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ায় যেভাবে প্রজনন হার কমছে, তেমনটা চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরে আমাদের দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে।

তাই দেশটিতে সরকারি উদ্যোগ ছাড়াও বেসরকারি উদ্যোগে জন্মহার বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। সিউলভিত্তিক কোম্পানি বুইয়ং।

এ কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক মানের। ইউরোপে বাজার ভালো। এ কোম্পানি গত বুধবার ঘোষণা দিয়েছে একটি সন্তান জন্ম দিলেইপাওয়া যাবে ৭৫ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮২ লাখ টাকার বেশি।

সিউলভিত্তিক কোম্পানি বুইয়ং গত বুধবার একটি অনুষ্ঠানে ২০২১ সাল থেকে তাদের কোম্পানিতে কর্মরত নারীদের ৭০টি বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য মোট ৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন বা ৫২ লাখ ৫০ হাজার ডলার পুরষ্কার দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে।

বুইয়ং কোম্পানির চেয়ারম্যান লি জুং কিউন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় যেভাবে প্রজনন হার কমছে, তেমনটা চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরে আমাদের দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, একটি পরিবারে কয়টি সন্তান থাকবে তা অনেক সময় সেই পরিবারের আর্থিক সঙ্গতির ওপর নির্ভর করে। অনেক সময় দেখা যায়, সন্তান লালন-পালন করা ও তার ভবিষ্যতের বিষয়টি ভাবতে গিয়ে অর্থ সরবরাহ না করতে পারার জন্যও অনেকে বেশি সন্তান নিতে চান না। তাই আমরা কর্মীদের বোনাস দেওয়ার কথা ভেবেছি। সূত্র, আউটলুক।

বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশগুলোর অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০২৩ সালে শিশু জন্মের হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০২২সালে  ছিল শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ।

দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বুসানে একাধিক সন্তানের মাকে আলাদাভাবে ৩৭৭ ডলার থেকে ৭ হাজার ৫৫২ ডলার পর্যন্ত বাড়তি সহায়তা দিচ্ছে।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দক্ষিণ জেওলা প্রদেশের গ্রামীণ এলাকায় প্রতি সন্তানের জন্য একজন মাকে ৭ বছরের জন্য প্রতি মাসে ৪৫৩ ডলার দেওয়া হচ্ছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, নতুন মায়েদের জন্য এই নগদ অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যায় ইতিবাচক ফল আনবে কিনা- তা স্পষ্ট নয়।

৩৯ বছর বয়সী দোভাষী চো জু-ইয়েওন গণমাধ্যমটিকে জানান, তিনি বিয়ে করেছেন প্রায় ১০ বছর আগে। কিন্তু, সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন না। সরকার কী পরিমাণ অর্থ দিচ্ছে তাও তার কাছে বিবেচনার বিষয় নয়।
চোর মতো দক্ষিণ কোরিয়ার অনেকে বিয়েতে নারাজ। আবার অনেকে বিয়ে করলেও সন্তান দিতে আগ্রহী নন।

সরকারি জরিপে দেখা গেছে, দেশটিতে ১৯ বছর থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ সন্তান নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল স্টাডিজের জরিপ অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ায় মাত্র ৪ শতাংশ তরুণী মনে করেন যে বিয়ে ও সন্তানের প্রয়োজন আছে।

news24bd.tv/ডিডি