মাত্রা ছাড়িয়ে গেল বৈশ্বিক তাপমাত্রা

প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক তাপমাত্রা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

মাত্রা ছাড়িয়ে গেল বৈশ্বিক তাপমাত্রা

অনলাইন ডেস্ক

প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক তাপমাত্রা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত ১২ মাসে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসেরও বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট মনিটর, যাকে মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। খবর আল জাজিরার।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ সার্ভিস বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির এ তথ্য উন্মুক্ত করে।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রার পরিবর্তন পর্যালোচনা করার পর তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।

পৃথিবীব্যাপী ঝড়, খরা এবং দাবানলের পাশাপাশি এল নিনো নামক আবহাওয়াজনিত কারণে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের উপতিভাগের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০২৩ সাল ছিল মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।

কোপার্নিকাস সার্ভিসের তথ্যমতে, গত ১২ মাসে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৫২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা ২০২৪ সালও উষ্ণ হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করছে।

তবে বৈশ্বিক তাপমাত্রার এই মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া স্থায়ী নয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

২০১৫ সালে বিশ্বের ২০০টি দেশ ফ্রান্সের প্যারিসে একত্রিত হয়ে একটি জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যার মধ্য দিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার কমিয়ে এনে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে বৈশ্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ভেতরে রাখার জন্য দেশগুলো একমত হয়।

তবে, গত বছর জাতিসংঘ বিশ্বের দেশগুলো প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে নি বলে জানিয়েছে। অপরদিকে, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন বাস্তবসম্মত নয় বলে মত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবুও চেষ্টা চলছে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমানোর জন্য।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে নির্বাচনের দিন নিহত ৫

সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া জানুয়ারি ছিল মানবেতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম জানুয়ারি মাস। কোপার্নিকাস সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বারগিসের মতে, গ্রীনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ দ্রুত কমানোই হচ্ছে জলবায়ু সঙ্কট থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।

বৃহস্পতিবার বিশ্বের মহাসাগর এবং আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করার জন্য একটি নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে নাসা। পেস নামের এই স্যাটেলাইটটি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স কর্তৃক মহাকাশে পাঠানো হয়, এবং ৯৪৮ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পে স্যাটেলাইটটি আগামী তিন বছর পৃথিবীর ৬৭৬ কিলোমিটার উপর থেকে বৈশ্বিক আবহাওয়া পর্যালোচনা করবে।

বর্তমানে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর আটটি রং বিশ্লেষণ করতে পারে। তবে পেস স্যাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে বিচ্ছুরিত ২০০টি রং বিশ্লেষণ করতে পারবে, যার ফলে সমুদ্রে ভাসমান শৈবাল এবং বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র বস্তুগুলো এই স্যাটেলাইট কর্তৃক ধরা পড়বে। এর মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রাকৃতিক দূর্যোগ সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করতে পারবেন এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করতে পারবেন।

news24bd.tv/ab

এই রকম আরও টপিক