নাগরিকদের মধ্য থেকে মিলিশিয়া বাহিনী গঠনের মাধ্যমে দূর্বল হয়ে পড়া সেনাবাহিনীকে নতুন শক্তি যোগানোর চেষ্টা করছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। রেঙ্গুন, বাগো, তানিনথারি অঞ্চলে এবং মন প্রদেশে নাগরিকদেরকে অস্ত্র, নগদ অর্থ এবং খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে এসকল মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হচ্ছে। খবর ইরাবতীর।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মন প্রদেশে মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে অস্ত্র তুলে দেন জান্তা বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল নিউত উইন সে এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সো মিন।
বাগোর পূর্বাঞ্চল মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদাউয়ের পাশ্ববর্তী এলাকা যেখানে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন এবং তাদের মিত্ররা সক্রিয় রয়েছে। রাজধানীর আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে বাগোর পূর্বাঞ্চলে চার মাস আগে থেকেই মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হয়েছে।
২০২১ সালের সেনাঅভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসা কারেন বর্ডার গার্ড ফোর্স জান্তা বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার এবং তাদের দেয়া খাদ্য কিংবা অর্থ গ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে।
মিলিশিয়া বাহিনীগুলো বহুদিন ধরেই জান্তা বাহিনীর প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে নির্বাচনের দিন নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
রেঙ্গুনের মিলিশিয়া বাহিনী রাতের বেলা কারও বাসায় বিদ্রোহীরা আশ্রয় নিয়েছে কিনা সেটি খুঁজে বেড়ায়। সাগাইং অঞ্চলের মিলিশিয়া বাহিনী জান্তা বাহিনীর পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ এবং হামলার জন্য সুপরিচিত।
বাগো অঞ্চলের পুরুষদেরকে জোরপূর্বক মিলিশিয়ার সদস্য করা হচ্ছে এবং গ্রামবাসীর কাছ থেকে জোরপূর্বক আদায় করা অর্থ দিয়ে তাদের খাদ্য ও বেতনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যদের সময় ও সুযোগ বুঝে বিদ্রোহ ঘোষণা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
গত ২৭ অক্টোবর উত্তর শান প্রদেশে বিদ্রোহীদের অপারেশন ১০২৭ শুরু হওয়ার পর থেকে জান্তা বাহিনীতে যোদ্ধাদের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সংকট নিরসনে জান্তা সরকার অবসরপ্রাপ্ত যোদ্ধাদের পুনরায় যোগ দিতে বাধ্য করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র এবং বেসামরিক আমলাদেরকে যোদ্ধা হিসেবে নিযুক্ত করছে।
news24bd.tv/ab