বিশ্ব ইজতেমায় আসার পথে উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে বাসের ধাক্কায় এক মুসল্লি মারা গেছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আব্দুল্লাহপুর মাছ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই মারা গেলেন ৭ মুসল্লি।
আজ ভোরে নিহত আবুল কাশেম (৬৫) পাঁয়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান যাচ্ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বাসিন্দা। আহতরা হলেন- মিলন মাঝি (৬০), বাদশা মিয়া (৪৫) ও রাজু (৪০)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য জানান।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা ২০ মিনিটে ইজতেমা ময়দানে আও একজনসহ ৬ জন মুসল্লি মারা যান। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে শেরপুর সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কালাম (৬৫), বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামের মো. হেলিম মিয়া (৬৫) ও বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার শিবনগর এলাকার মো. জহির উদ্দিন (৭০) মারা যান। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে মারা যায় নবীর উদ্দিন (৬৫)। তার বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার গোয়ালের চর গ্রামে। শুক্রবার ভোরে ইজতেমায় আসার পথে আব্দুল্লাহপুরে বাসের ধাক্কায় মারা যান লক্ষ্মীপুরের রামগতির আবুল কাশেম (৬৫)।
ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাঁদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাদের তথ্য ও ঠিকানা পাওয়া গেছে, তাঁদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুইজনের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। পেলে জানানো হবে।
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারো বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করেন। চার দিন বিরতির পর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করছেন আজ থেকে। ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা।
news24bd.tv/আইএএম
