শুক্রবার( ৯ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, আমার স্মৃতিশক্তি মোটেই কমে যাচ্ছে না। ভালোই আছে। আমি আমার তারুণ্যের দিনগুলোকে এখনও মনে করতে পারি। ছোট ছেলের সঙ্গে সবশেষ কি বিষয়ে আলাপ হয়েছে সেসবও মনে আছে।
বর্তমানে ৮১ বছর বয়স।
উল্লেখ্য, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৫ সালে মারা যান বাইডেনের ছোট ছেলে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে আফগানিস্তান সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ তদন্ত করতে দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিয়োগ করেছিল রবার্ট হুর নামের এক আইনজীবীকে, যিনি বর্তমানে মার্কিন বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বাইডেনের পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম আস্থাভাজন কর্মকর্তা ছিলেন রবার্ট হুর। ট্রাম্প তাকে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ প্রসিকিউটর করেছিলেন।
তদন্ত শেষে সম্প্রতি ৩৪৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন হুর। সেখানে তিনি বলেছেন, তদন্তকাজের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি ও তার নেতৃত্বাধীন দল। ৫ ঘণ্টাব্যাপী সেই সাক্ষাৎকারে বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মেয়াদ এবং তার বড় ছেলে বিউ বাইডেনের মৃত্যুর তারিখ জিজ্ঞেস করেছিলেন হুর; কিন্তু বাইডেন এই দুই প্রশ্নের কোনোটিরই সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ডিপ্লোমেটিক রিসেপশন হলে চলছিল সংবাদ সম্মেলনে। বাইডেন যখন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন, সে সময় সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে উঠেছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
news24bd.tv/ডিডি