১৫ বছরের সকল অন্যয়ের জবাব দিতে হবে: মান্না

১৫ বছরের সকল অন্যয়ের জবাব দিতে হবে: মান্না

১৫ বছরের সকল অন্যয়ের জবাব দিতে হবে: মান্না

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সবার নামে মামলা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ‘অরক্ষিত সীমান্ত, ধর্ষিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার’ শীর্ষক উন্মুক্ত আলোচনায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মাহমুদুর রহমান মান্না এসময় বলেন, ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই—এই ১৫ বছরে যত অন্যায়-অপরাধ করেছেন তার সবকিছুর জবাব দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ২০টা করে মামলা দিয়েছে।

আমরা যদি ক্ষমতায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে থাকি, তা একটি ডিকশনারির সমান হয়ে যাবে। সবার বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অপরাধে মামলা হবে। দেশের ১৭ কোটি মানুষ ইতোমধ্যে রায় দিয়েছে যে তারা নির্বাচিত নয়। আমরা তোমাদের ভোট দিইনি।

তিনি এরপর বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাকি বলেছেন যারা বিরোধী দল, আন্দোলন করার চেষ্টা করছে, তাদের খেসারত দিতে হবে। আমি জানতে চাই, সেই খেসারতটা কী? নির্দোষ একজন মহিলা (খালেদা জিয়া), তাকে ১০ বছর ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আপনারা মানুষের সংজ্ঞায় পড়েন কি না, তা নিয়ে আমাদের দ্বিধা রয়েছে।

স্বাধীনতা অর্জনের পথে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় লোকজন কোনও আন্দোলন করেননি দাবি করে তিনি বলেন, কোনও একভাবে বাংলাদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিল। কোনও একভাবে বলার কারণ হলো, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় লোকজন কোনও আন্দোলন করেননি। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যখন সোচ্চার হয়ে উঠেছিল, সেসময় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ টেনে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি এরপর বলেন, মিয়ানমার সমস্যা একটা জটিল সমস্যা। কোনও মূর্খ নেতার পক্ষে সেটা সমাধান করা সম্ভব বলে আমাদের মনে হয় না। যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা দেশে ঢুকছে, তখন শেখ হাসিনার ছোট বোন তাকে বলেছিলেন, তুমি ১৭ কোটি লোককে খাওয়াতে পারো আর ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারবে না? এরকম অর্বাচীনতা বিশ্বের কোনও রাজনীতির মধ্যে নাই।

মান্না আরও বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি টাকা বিনিয়োগ করেছে আমেরিকা। তারাও বলেছে এই নির্বাচন সুষ্ঠু নয়। কিন্তু টাকা পায় বলে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছে। তার মানে এই না যে এটা স্বীকৃতি প্রদান। ইউরোপের কোনও দেশ কিন্তু স্বীকৃতি দেয়নি। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন, ইংল্যান্ডে অনেক বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করে, তাদের ফেরত নিয়ে যান। অথচ এই চিঠির খবর কোথাও ছাপানো হয়নি।

news24bd.tv/aa