নিজের আসনে বড় ব্যবধানে জিতলেন নওয়াজ শরিফ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ।

নিজের আসনে বড় ব্যবধানে জিতলেন নওয়াজ শরিফ

অনলাইন ডেস্ক

পশ্চিমা গণমাধ্যমসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা অনুযায়ী পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ। নির্বাচনে দুটি আসন থেকে নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নওয়াজ। এরমধ্যে একটিতে হারলেও, অন্যটিতে বড় জয় পেয়েছেন তিনি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ খবর দিয়েছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পাক গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, লাহোর ১৪ আসনে (নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৩০) বড় জয় পেয়েছেন নওয়াজ শরিফ। এই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. ইয়াসমিন রশীদ।

লাহোরের এই আসনে নওয়াজ শরিফ পেয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ২৪ ভোট। তার বিপরীতে ড. ইয়াসমিন পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ ভোট।

অর্থাৎ ৫৫ হাজার ৯৮১ ভোটে জয় পেয়েছেন নওয়াজ শরিফ।

এর আগে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি জানায়, বৃহস্পতিবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নওয়াজ শরিফ মানসেহরাতে (নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫) স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

শাহজাদা গাস্তাসাপ ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আরেক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে, শাহজাদা গাস্তাসাপ ৭৪ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, আর মিয়া নওয়াজ শরিফ ৬৩ হাজার ৫৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। নওয়াজ শরিফের জন্য এটিকে বেশ বড় পরাজয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর ফল ঘোষণা শুরু হওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে আগে থেকেই বিতর্কিত পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। তবে ফল ঘোষণা শুরুর পর থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন বলে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ভোটে মোট ৫ হাজার ১২১ জন প্রার্থী এবং প্রাদেশিক পরিষদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২ হাজার ৬৯৫ জন প্রার্থী। জাতীয় পরিষদের ৩৩৬টি আসনের মধ্যে ২৬৬ জন সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। বাকি ৭০টি সংরক্ষিত আসন। তার মধ্যে ৬০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। আর ১০টি অমুসলিমদের জন্য।

এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোন দলকে ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। এছাড়া জনগণের সরাসরি ভোটে বিজয়ী প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। নির্বাচনের পর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেকোনো দলে যোগ দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

সংসদ সদস্যদের ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে হলে কমপক্ষে ১৬৯ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: ফের এগিয়ে ইমরানের দলের স্বতন্ত্ররা 

আরও পড়ুন: ইমরান খানপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হারলেন নওয়াজ শরিফ

news24bd.tv/তৌহিদ