এখন পর্যন্ত ২৫১ আসনে পিটিআই ১০৬, বাকিরা অনেক পিছিয়ে

নওয়াজ শরীফ, ইমরান খান ও বিলওয়াল ভুট্রো--ফাইল ছবি

এখন পর্যন্ত ২৫১ আসনে পিটিআই ১০৬, বাকিরা অনেক পিছিয়ে

বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত পাকিস্তানে ২৫১ আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে।
এরমধ্যে ইমরান খানের পিটিআই ১০৬ আসন, নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন ও পিপিপি ১১৮ আসন পেয়েছে।  
পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গহর আলী খান দাবি করেছেন ইমরান খানের দল স্বতন্ত্র প্রার্থীর অবস্থানে প্রায় ১৫০ আসন পাবে।  
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফল যত প্রকাশ হচ্ছে, ততোই ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে ইমরান খানের দল।

দলীয় প্রতীক নিষিদ্ধ করায় দলটির প্রার্থীরা এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্য দুটি দলের মধ্যে পিএমএল-এন ৬৭টি আসন পেয়ে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় অবস্থানে। তবে পিএমএল-এন এর দাবি, দল হিসেবে প্রথম অবস্থানে তারাই। কারণ পিটিআই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন।

তবে পিটিআই সমর্থিত নয় এমন স্বতন্ত্র হিসেবে জয় পেয়েছেন আরও ১১ জন। এছাড়া সর্বশেষ ফলাফলে দেখা গেছে, পিপিপি পেয়েছে ৫১টি আসন। এমকিউএম (পি) ৯, জেইউআই (এফ) ৩, বিএনপি ২ ও আইপিপি ২টি আসনে জয় পেয়েছে। সূত্র, জিও টিভি অনলাইন 
৩৩৬ আসনের দেশটির জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে ১৬৯টি আসনের প্রয়োজন। এমন একটি সরকার গঠনে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে ভোটাররা সরাসরি ২৬৬ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে পারেন। আর বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। নির্বাচনে প্রতিটি দলের জয়ী সদস্যদের সংখ্যার অনুপাতে এই সংরক্ষিত আসনগুলো বরাদ্দ করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ীরা সরকারি ফলাফল ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। এই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সাধারণত পার্লামেন্ট সদস্য নিয়ে টানাটানি চলে। হর্স ট্রেডিং হিসেবে পরিচিত দলে ভেড়ানোর এই টানাটানির সময়ে পিটিআই সমর্থিত বিজয়ীরা কী করবেন তা এখন দেখার বিষয়।  
যদিও পিটিআই চেয়ারম্যান গহর আলী খান বলেছেন , তারা কোনো জোটে যাওয়ার কথা ভাবছেন না।  তারা একাই সরকার গঠন করার ক্ষমতা রাকবেন এবং সেটা বিজয়ী হয়ে । জনগণের ওপর তাদের ভরসা আছে।  

news24bd.tv/ডিডি