নওয়াজ শরিফ-আসিফ জারদারি বৈঠক

নওয়াজ শরিফ ও আসিফ জারদারি

নওয়াজ শরিফ-আসিফ জারদারি বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক

ভোটের ফলে পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও পাকিস্তানে সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছেন নওয়াজ শরিফ। তবে নওয়াজ জয়ের দাবি করে শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাতেই তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত পাওয়া ২৫১টি আসনে পিটিআই ১০৬ সিট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন ৬৭ আসন ও বিলাওয়াল ভুট্টর পিপিপি পেয়েছে ৫১টি আসন।

 

তবে ৩৩৬ আসনের দেশটির জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে ১৬৯টি আসনের প্রয়োজন। এমন একটি সরকার গঠনে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।  

ভোটাররা সরাসরি ২৬৬ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে পারেন। আর বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত।

এর মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। নির্বাচনে প্রতিটি দলের জয়ী সদস্যদের সংখ্যার অনুপাতে এই সংরক্ষিত আসনগুলো বরাদ্দ করা হয়।

আরও পড়ুন... সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে পিটিআই, কী হবে ইমরান খানের?

শুক্রবার লাহোরে দলের প্রধান কার্যালয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেন, ঐকমত্যের সরকার গঠনের জন্য তিনি তাঁর ছোট ভাই শাহবাজ শরিফকে পিপিপির আসিফ জারদারি, জমিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) নেতা ফজলুর রেহমান এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) নেতা খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন।
এরপরই খবর আসে নওয়াজ শরিফ নিজেই আসিফ জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।  

আরও পড়ুন... ‘বিজয়ী ভাষণ’ দিলেন ইমরান খান

পিপিপির সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত ডন–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোর দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে আর কারা উপস্থিত ছিলেন বা কী আলোচনা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

২০২২ সালে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পিপিপি ও পিএমএল-এন একসঙ্গে জোট করেছিল।

সূত্র: জিও টিভি

news24bd.tv/আইএএম