ইমরানের সঙ্গে ‘বেইমানি’ করা সাবেক পিটিআই নেতাদের লজ্জাজনক হার 

ইমরানের সঙ্গে বেইমানি করা প্রার্থীদের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে - সংগৃহীত

ইমরানের সঙ্গে ‘বেইমানি’ করা সাবেক পিটিআই নেতাদের লজ্জাজনক হার 

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সঙ্গে ‘বেইমানি’ করে এবারের পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ানো বড় নেতারা জেতেননি কেউ। ইমরানের দলত্যাগ করে অন্য পার্টিতে যোগ দেওয়া কিংবা নতুন দল করে নির্বাচন করা প্রার্থীদের হয়ে কাজ করেছে সেনাবাহিনীসহ সরকারের একটা অংশ। কিন্তু তারপরেও দেখেছে হার। এবারের নির্বাচনে রীতিমতো অপদস্ত হয়েছেন তারা।

 

২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধী দলগুলো এক জোট হয়ে অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর পিটিআইয়ের অনেক নেতা নানামুখী চাপে দলত্যাগ করেন। অনেকে রাজনীতি ছেড়ে দেন। আবার অনেকে দল ত্যাগ করে গঠন করেন নতুন রাজনৈতিক দল।

চাপে পড়ে যেসব বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতারা পিটিআই ত্যাগ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন খাইবার পাখতুনখাওয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাটাক। তিনি ইমরানের পিটিআই ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন পিটিআই-পার্লামেন্টেরিয়ান্স (পিটিআই-পি) নামের একটি নতুন দলে। অপরজন হলেন জাহাঙ্গীর তারিন। যিনি এক সময় ইমরানের খুবই কাছের লোক ছিলেন। তিনিও পিটিআই ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন ইস্তেকাম-ই-পাকিস্তান পার্টিতে (আইপিপি)। কিন্তু নির্বাচনে এ দুটি দলের চরম ভরাডুবি হয়েছে। এমনকি তারা নিজেরাও হেরে গেছেন নিজ নিজ আসন থেকে।  

নির্বাচনী প্রচারের সময় পারভেজ খাটাক বলেছিলেন তিনি আবারও খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হবেন এবং পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তার সঙ্গে যোগ দেবে। অথচ, পিটিআই-পি জাতীয় নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি।

অপরদিকে, জাহাঙ্গীর তারিন নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এনের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিও করেছিলেন এবং বলেছিলেন কেন্দ্র ও পাঞ্জাব প্রদেশে নওয়াজের সঙ্গে সরকার গঠন করবেন তিনি। কিন্তু তার দল জাতীয় পরিষদে দুটি আসনে জয় পেয়েছে। সে দুটি আসনেও আবার ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলো।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে নির্বাচন হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৪৫টি আসনের ফলাফল জানা গেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৯৮টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, ৬৯টি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫১টি আসন।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন