ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে সবার হাতে বন্দুক 

ডোনাল্ড ট্রাম্প-ফাইল ছবি।

ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে সবার হাতে বন্দুক 

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায়ই শোনা যায় স্কুলে বন্দুক হামলা। পরে দেখা যায় এসব হামলা ঘটানো হয় নীরিহ শিমুদের ওপর দুটি কারণে। একটি হচ্ছে যে হামলা করেছে সে মানসিকভাবে অসুস্থ।

অন্যটি রেসিজমের কারণ পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। দেশটির প্রতিষ্ঠাতারা একসময় বন্দুকের মালিকানার বৈধতা দিলেও তারা হয়তো কখনো ভাবেননি, এটা একদিন নিরীহ মানুষের দিকে তাক করা হবে। ডেমোক্র্যাটরা বারবার কঠোর অস্ত্র আইনের দাবি জানালেও তা গুরুত্ব দিচ্ছে না রিপাবলিকানরা।
অস্ত্রের বিষয়ে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অবস্থান জানালেন গত শনিবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি)।
তিনি বলেন,  ক্ষমতায় যেতে পারলে জনগণের বন্দুক রাখার অধিকার সুরক্ষিত করা হবে । একই সঙ্গে এই অধিকারে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন, সেগুলোও সরিয়ে পুরোনো রূপ ফিরিয়ে আনা হবে বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।
সূত্র, রয়টার্স।  
গত শনিবার ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজারো সমর্থকের উদ্দেশে ট্রাম্প এ কথা বলেন। আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।  তিনি রিপাবলিকানদের সম্ভাব্য প্রার্থী। তিনি বলেছেন, পিস্তল ব্রেসেসের বিক্রি বন্ধ করতে যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, সেটিসহ আরও কিছু বিধান বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
পেনসিলভানিয়ার রাজধানী হ্যারিসবার্গ গ্রেট আমেরিকান আউটডোর শোতে এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, বন্দুকমালিক ও প্রস্তুতকারকদের ওপর বাইডেনের নেওয়া প্রতিটি ‘নেতিবাচক’ পদক্ষেপ বাতিল করা হবে। সেটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম সপ্তাহেই, সম্ভবত প্রথম দিনই হতে পারে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার চার বছরের মেয়াদে কিছুই হয়নি। অথচ বন্দুক নিয়ে কিছু করতে আমার ওপর দারুণ চাপ ছিল। আমরা কিছুই করিনি, নতি স্বীকারও করিনি। ’

News24bd.tv/ডিডি