ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তাঁর স্ত্রীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

সৈয়দ আশফাকুল হক ও তানিয়া খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তাঁর স্ত্রীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

অনলাইন ডেস্ক

অষ্টম তলা থেকে পড়ে ১৫ বছর বরসী গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় কারাগারে থাকা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে বারবার গৃহকর্মী নির্যাতনের কারণ জানতে চেয়েছে পুলিশ। প্রীতির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিলো বলে জানিয়েছেন, সুরতহাল করা কর্মকর্তা।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি ভবনের অষ্টমতলা তলা থেকে পড়ে মারা যান ১৫ বছর বয়সী গৃহকর্মী প্রীতি উরাং।

 

প্রীতি ভবন থেকে নিচে পড়ার পর এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়েটি ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

পরে মোহাম্মদপুর থানার মামলায় পুলিশ আশফাক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে আটক করে।

আদালত তাদের রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ও জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

এদিকে এলাকাবাসী জানায়, গৃহকর্মী প্রীতির মৃত্যুর ছয় মাস আগে সাত বছর বয়সী ফেরদৌসী নামের আরেক গৃহকর্মী একইভাবে একই স্থান থেকে পড়ে যায়। তবে তখন সে বেঁচে যান।

আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে রহস্যজনকভাবে নয়তলা থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পড়ে যাওয়ার আগে বেশ কিছুক্ষণ জানালার গ্রিল ধরে ঝুলে ছিল প্রীতি। এছাড়াও ভবনের আশেপাশে লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অনেকেই মুখ খোলেন না। এছাড়া ভবনটির দারোয়ান জানান, মেয়েটি পড়ার সময় শরীরে শুধু জামা ছিলো।

একই বাসায় বারবার কেন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে এবং এর নেপথ্যে কী কারণ তা বের করার জন্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

এ বিষয়ে ডিএমপি তেঁজগাও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক বলেন, ছয় মাসের ব্যবধানে দুটি ঘটনা ঘটার পর প্রশ্ন উঠেছে, বাসায় গৃহকর্মীদের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হতো কি না? এছাড়া সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পেলেও এর ম্যামোরি ফাঁকা পাওয়া যায়। শরীরিক ও মানসিক নির্যাতন ছাড়াও মেয়েটি পড়ে গেছে নাকি ফেলে দেয়া হয়েছে সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে বলে জানায় পুলিশ।

news24bd.tv/DHL