রোজার আগেই পেঁয়াজ ও চিনি দেবে বলে কথা দিয়েছে ভারত: বাণিজ্যমন্ত্রী

সংসদ অধিবেশন ও আহসানুল ইসলাম টিটু

রোজার আগেই পেঁয়াজ ও চিনি দেবে বলে কথা দিয়েছে ভারত: বাণিজ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ভারত রোজার আগেই পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানির অনুমতি দেবে বলে কথা দিয়েছে। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরে এ বিষয়ে ভারত আশ্বাস দিয়েছে। ভারত ও অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ, চিনি সরবরাহ যথাযথ রাখতে ব্যবস্থা নেব।  

রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

এর আগে সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, চিনি ও পেঁয়াজ কোনো পার্শ্ববর্তী দেশকে দেবে না, সেখানে তারা একটু শিথিল করেছে।

তারা আমাদের আবেদনটা সহানুভূতি নিয়ে দেখছে। আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং ৫০ হাজার টন চিনি ভারত দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের আরেকটু চাহিদা বেশি। আমরা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি চেয়েছি। তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। সামনে তাদের নির্বাচন, তাদের ভোক্তাদের কষ্ট দিয়ে তো আমাদের দেবে না। যতটুকু সহনীয়, ততটুকু তারা দেবে। ’

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সারা দেশে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের ‘১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ছয় মাসে পাঁচ হাজার ৩৭৪টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনে বিভিন্ন অপরাধে ১১ হাজার ৬৮৫টি প্রতিষ্ঠানকে ছয় কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চালের দাম স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় চালের মিল ও পাইকারি বাজার মনিটরিং করছে। আলু, পেঁয়াজ ও ডিম সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি নিশ্চিতকরার জন্য দেশব্যাপী কোল্ড স্টোরেজ, পাইকারি ও খুচরা বাজারে তদারকির কাজ পরিচালনা করছে। এসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তর দেশব্যাপী পাইকারি ও খুচরা বাজারে মনিটরিং করছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক ও অভিযান পরিচালনাসহ নিয়মিত বাজার মনিটরিং হচ্ছে। ’

প্রতিমন্ত্রী জানান, মাংসের দাম কমানোর জন্য ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে আনার জন্য বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসহ অংশীজনের অংশগ্রহণে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিং পরিচালনা করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের ইতিবাচক রিপোর্টের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোজ্য তেল, চিনি, এলপি গ্যাস, গরম মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।