জেনে নিন পাকিস্তানের সরকার ব্যবস্থা 

জেনে নিন পাকিস্তানের সরকার ব্যবস্থা 

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের ১৬তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ২৬৪ আসনের ফলাফলে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের প্রায় সবাই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থিত। তারা ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন।

এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৬ আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।

পাকিস্তানে সরকার গঠন করতে হলে ১৩৪টি আসনের প্রয়োজন হয়, যা এককভাবে কোনো দলই পায়নি। এখন কোয়ালিশন করা ছাড়া কোনো দলের পক্ষে সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।

তাহলে কে হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে বেশ জল্পনা চলছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে কারাগারে রেখেই এবার ভোট হয়েছে। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বেশ জল্পনা চলছে।  

জাতীয় পরিষদ ও সিনেট

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় পাঁচ বছরের জন্য। মোট আসন ৩৩৬টি। এর মধ্যে সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত আসন ২৬৬টি। ১০টি আসন অমুসলিমদের ও ৬০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।

সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪টি আসন।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ

জাতীয় পরিষদ গঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোদী দলীয় নেতার সমন্বয়ে। পাকিস্তানে একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন প্রেসিডন্ট। জুন মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পাকিস্তানে চারটি প্রদেশ ও একটি অঞ্চল। প্রদেশগুলোর মধ্যে জাতীয় পরিষদের জন্য খাইবার পাখতুনখোয়ার ৪৫টি আসন, পাঞ্জাবের ১৪১টি আসন, সিন্ধ প্রদেশে ৬১টি আসন ও বেলুচিস্তান প্রদেশে ১৬টি প্রাদেশিক আসন রয়েছে। অঞ্চলের মধ্যে ইসলামাবাদের তিনটি আসন রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি একই সঙ্গে প্রাদেশিক পরিষদেরও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়াও পাকিস্তানে সিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে এটি আলাদাভাবে হয়। সিনেটে মোট আসন ১০০টি। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৬২টি, টেকনোক্র্যাট বা ওলামা ১৭টি ও সংখ্যালঘুদের জন্য ৪টি আসন বরাদ্দ।

তবে স্বায়ত্বশাসিত হওয়ায় আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিত-বালতিস্তানের নির্বাচন সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।

প্রাদেশিক পরিষদ

পাকিস্তানের মোট চারটি প্রদেশ। প্রতিটি প্রদেশের একজন করে গভর্নর থাকেন। গভর্নর নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। প্রতিটা প্রদেশে আলাদা করে একজন মূখ্যমন্ত্রীও থাকেন। মূখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন প্রাদেশিক পরিষদ থেকে। প্রাদেশিক সরকারে তিনিই থাকেন প্রধান।

প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে সবেচেয়ে বেশি আসন রয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশে। প্রদেশটিতে মোট আসন ৩৭১টি। এর মধ্যে সরাসরি নির্বাচন হয় ২৯৭টি আসনে, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৬৬টি ও সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ ৮টি আসন।

সিন্ধ প্রদেশের আসন সংখ্যা ১৬৮টি। এর মধ্যে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৩০টি আসনে। ২৯টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত ও ৯টি আসন সংখ্যালঘুদের বরাদ্দ।

খাইবার পাখতুনখোয় প্রদেশে মোট আসন ১২৪টি। এর মধ্যে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৯৯টি আসনে, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ২২টি আসন ও সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ ৩টি আসন।

বেলুচিস্তান প্রদেশে আসন সংখ্যা ৬৫টি। সরাসরি নির্বাচন হয় ৫১টিতে, নারীদের জন্য আসন ১১টি আর ৩টি আসন বরাদ্দ সংখ্যালঘুদের জন্য।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া

news24bd.tv/আইএএম