পানির দাম নির্ধারণে নতুন ব্যবস্থা, ভর্তুকি দেবে না ওয়াসা

ওয়াসা

পানির দাম নির্ধারণে নতুন ব্যবস্থা, ভর্তুকি দেবে না ওয়াসা

অনলাইন ডেস্ক

বিত্তবানদের কেন ভর্তুকি দিয়ে পানি খাওয়াবে সরকার, এমন প্রশ্ন রখেছেন ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, রাজধানীর অভিজাত ও বস্তি এলাকায় আর একই দামে ঢাকা ওয়াসা পানি সরবরাহ করবে না।  

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ওয়াসা।

তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন অনেক ধনী। বারিধারার দুই রুমের অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া দেন মাসে দেড় লাখ টাকা। অন্যদিকে খিলগাঁওয়ে দুই রুমের একটা বাসার ভাড়া ২০ হাজার টাকা। ২০ হাজার টাকা যিনি ভাড়া দেন আর এক লাখ ৫০ হাজার টাকা যিনি ভাড়া দেন, তারা একই দামে পানি খান।

এটা কী করে সম্ভব? তাহলে তো বিত্তবানদের কাছে পানির মূল্যই নেই। বিত্তবানদের কেন ভর্তুকি দিয়ে পানি খাওয়াবে সরকার? এজন্য আমরা ‘এরিয়া অ্যান্ড ক্যাপাসিটি’ভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণ করতে চাই। টার্গেট আছে জুলাই থেকে কার্যকর করা। যদিও সফটওয়্যার এখনো প্রস্তুত হয়নি। ’

ওয়াসার এমডি বলেন, ‘যার সামর্থ্য বেশি তিনি পানির দাম বেশি দেবেন। যার সামর্থ্য কম তিনি কম দেবেন। লামছাম বাড়ানো তো সবসময় বাড়ানো যায়। সরকার যদি বাড়াতে চায় বাড়াবে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি একটা নতুন ব্যবস্থা চালু করা। অঞ্চল এবং সক্ষমতাভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ করতে। আমরা ভর্তুকি ছাড়া চলার মতো অবস্থায় চলে এসেছি। আমরা দাম বাড়াচ্ছি না। স্তরভিত্তিক মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে। আমাদের টার্গেট জুলাই থেকে কার্যকর করা। এখনো সফটওয়্যার প্রস্তুত হয়নি। তবে এটা সময় লাগলেও জুলাইয়ের আগে সরকার দাম সমন্বয় করতে পারে। ’

তিনি বলেন, ‘পানির দাম নিয়ে আমাদের হয়ে একটা প্রতিষ্ঠান রিচার্স করছে। তারা সারাবিশ্বে গবেষণা করে দেখেছে এ ব্যবস্থা নেই। ভর্তুকি সরকার দেবে না। আমাদের ব্রেক-ইভেনে আসতে হবে। লাভ না, ব্রেক-ইভেন। অর্থাৎ এক টাকা লাভ। যেসব সংস্থাকে ভর্তুকি দিয়ে চলতে হয়, সেই সংস্থা কোনো দিনই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না। আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, ভর্তুকি দেবো না। আমরাও ভর্তুকি চাই না। ’

তাকসিম এ খান আরও বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-পাকিস্তানে সিস্টেম লস ৪০ এর ওপরে। আমরা ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। ডিএমএ চালুর পর সিস্টেম লস ৫, ৬, ৭ নেমে এসেছে। সুতরাং ব্রেক-ইভেনে আসতে হলে দাম সমন্বয়ে আসতে হবে। ’

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক