নওগাঁ-২ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু

নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। ছবি: নিউজ২৪

নওগাঁ-২ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু

নওগাঁ প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হয়ে যাওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটগ্রহণ আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে।

নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রাথী আমিনুল হক এর মৃত্যুজনিত কারণে ৭ জানুয়ারী ওই আসনের ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। আসনে মোট ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে শহিদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল মার্কা প্রতীকে এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কা প্রতীকে ইঞ্জি: এইচএম আখতারুল আলম এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল পাখি মার্কা প্রতীকে মেহেদী মাহমুদ রেজা।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান বলেন, পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-২ আসন। ধামইরহাট উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৩০১ জন, মহিলা ৭৮ হাজার ৭১৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। নির্বাচনে ৫৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৩০৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬০৮ জন এবং ৫৩টি ভোট কেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ২৯১ এবং অস্থায়ী ১৩টি।

 

অপরদিকে পত্নীতলা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৭১ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ৮৪৬র জন। নির্বাচনে ৭১জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০২জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৮০৪জন এবং ৭১টি ভোট কেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪০২ এবং অস্থায়ী ২৮টি। ভোট গ্রহণের জন্য মোট ৮৩০ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছে। এদের মধ্যে ১২৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৭০৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।  

নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, গত ৭ জানুয়ারির মত এই নির্বাচন যথেষ্ঠ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই সন্তোষজনক রয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার কোন সম্ভাবনা নেই। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিন পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর

নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার এই দুই উপজেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। কারণ, গত ৭ জানুয়ারি সারাদেশের সঙ্গে পুরো জেলায় একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে তুলনায় মাত্র একটি আসনে নির্বাচন হওয়ায় নিরাপত্তা অনেক গুণ গ্রহণ করা সহজ হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন করে পুলিশ সদস্য রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই মোবাইল টিম নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এই দুই উপজেলায় মোট ৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার সদস্যও নিয়োজিত রয়েছে।

news24bd.tv/DHL